জি-৭ বৈঠক শুরু হতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক নতুন নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব আনল যুক্তরাজ্য ও আমেরিকা।
বৃহস্পতিবারই জাপানে শুরু হয়েছে জি-৭ বৈঠক। সেখানে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রথম দিনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন সুনাক।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে হীরা এবং অন্যান্য দামি ধাতুর বাণিজ্য হয় রাশিয়ার। সুনাক জানিয়েছেন, এই বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন আর কোনোভাবেই হীরা এবং ধাতুর বাণিজ্য হবে না। এর রাশিয়া যথেষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে পড়বে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
অন্যদিকে, ৮৬ জন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে যুক্তরাজ্য। এই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরাসরি অথবা প্রকারান্তরে ভ্লাদিমির পুতিন এবং রাশিয়ার সেনা অফিসারদের সম্পর্ক আছে। তালিকা তৈরি করে এই ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেছেন সুনাক। এ বিষয়ে একটি টুইটও করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, জি-৭ এর সমস্ত দেশই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, না কাটা হীরার বাণিজ্য রাশিয়ার সঙ্গে আপাতত বন্ধ রাখা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে এখনও কিছু ঘোষণা না করলেও অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম আমেরিকার এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ৭০টি সংস্থার বিরুদ্ধে আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ তৈরি করেছে। সম্ভবত জি-৭ এর সম্মেলনেই তা ঘোষণা করা হবে।
এদিকে পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর যে মূল্য তারা জানিয়েছিল, বাস্তবে তা কম। আগে জানানো হয়েছিল, তিন বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই হিসেবে ভুল ছিল বলে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।