যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ৬ দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন একথা নিশ্চিত করে বলেছেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আপাতত ভালো থাকায় তাদের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই।
এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিছু কিছু গণমাধ্যমে ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বা বাংলাদেশস্থ বিদেশী কুটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রদান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য আমাদের নজরে এসেছে । উল্লেখ্য যে, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন। এই কারণে নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই বিভ্রান্তকর খবরটি সঠিক নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশ বিদেশী কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রচলিত রীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাধারণত বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশী কূটনীতিকদের নিরাপত্তার গুরু দায়িত্বটি সবসময় পালন করে থাকে । কিন্তু বাংলাদেশের কয়েক বছর আগের একটি ঘটনা পরবর্তী সময় থেকে কয়েকজন বিদেশী কূটনীতিককে অলিখিতভাবে গাড়িসহ মূলত নিয়মিত ট্রাফিক মুভমেন্টের সহায়তার জন্য বাড়তি কিছু লোকবল দেয়া হয়েছিল।বর্তমানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং নিয়ন্ত্রনাধীন আছে। তাই তাদেরকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানের কোন আবশ্যকতা নাই। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কার্য পরিধি বৃদ্ধির জন্য এই বাড়তি সুবিধাটি এখন অব্যাহত রাখা যাচ্ছে না। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে, পৃথিবীর কোন দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা ও চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন সুবিধা প্রদান করা হয় না।
আরও উল্লেখ করা যায় যে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দূতাবাস থেকে একই ধরনের সুবিধার জন্য অনুরোধ করার একটি প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। এ লক্ষ্যে তাদের সকলের সুবিধার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ আনসার বাহিনীতে একটি চৌকস দল তৈরি করেছে। বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের খরচে এ সুবিধাটি গ্রহণ করতে পারবেন। কোন দূতাবাস আনসার সদস্যদের এই সুবিধা অব্যাহত রাখতে চাইলে বা বাড়তি সুবিধা নিতে চাইলে আমাদেরকে লিখিতভাবে জানালে আমরা সেই ব্যবস্থাটি গ্রহণ করব। খুব শীঘ্রই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সকল বিদেশী দূতাবাসকে জানিয়ে দেয়া হবে।’’