বাংলাদেশে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির ভক্তের সংখ্যা অনেক। তাকে আগের বিপিএলের মতো এবারও দেওয়া হয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা।এই দেশে এসে বাংলাতেও কথা বলেছেন পাকিস্তানে এই তারকা। চিটাগং কিংয়ের মেন্টর হয়ে আসা আফ্রিদি বাংলাদেশকে মানেন দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবেই।
আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি চিটাগং। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩৭ রানে হেরেছে তারা। এতে অবশ্য খুব বেশি সমস্যা দেখছেন না আফ্রিদি। বোলিংয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়েও বলেছেন কথা। জানিয়েছেন এই দেশ থেকে পাওয়া সম্মানের কথাও।
আফ্রিদি বলেন, ‘আমি সব সময় বলি, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি। এটিকে সব সময়ই আমি দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে দেখি। কারণ এখানে আমি অনেক ক্রিকেট খেলেছি। এখানের মানুষ ক্রিকেটের ব্যাপারে প্যাশনেট। বাংলাদেশ থেকে আমি অনেক সম্মান পেয়েছি। পাকিস্তানের হয়ে ও ভিন্ন ভিন্ন ফ্যাঞ্চাইজির বিপিএলে কয়েক আসরে আমার দারুণ স্মৃতি আছে। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এখনো উপভোগ করছি। ’
ম্যাচ চলাকালীন খুলনার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ প্রশংসা করার মতো এক কাজ করেছেন। চিটাগংয়ের টম ও’কনয়েলকে চাইলে টাইমড আউট করতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেটি করেনি বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। তাইতো প্রশংসায় ভাসলেন আফ্রিদিরও। চিটাগংয়ের মেন্টর বলেন, ‘সত্যি বলতে এটি খুব ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। নিয়মের বিচারে অবশ্যই আউট। তবে এসব ক্ষেত্রেই স্পিরিট অব ক্রিকেটের প্রয়োগ চলে আসে। তো সবমিলিয়ে ভালো। ’
মেন্টরের ভূমিকা উপভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন আফ্রিদি। খুলনা-চট্টগ্রাম ম্যাচ চলাকালীন ব্রডকাস্টারকে তিনি বলেছেন, ‘খুবই সহজ। শুধু সমর্থন দেওয়া ও ছেলেদের অনুপ্রেরণা দেওয়া। এটি খুবই সহজ কাজ। মাত্র টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। বোলিংয়ে আমরা কিছু বড় ভুল করেছি। আমাদের বোলিং আক্রমণ খুব ভালো। কিন্তু আমরা সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারিনি। পিচ পড়তে পারিনি। পিচ বুঝে বোলিং করতে পারলে আমার মনে হয় আমাদের দলটা খুব ভারসাম্যপূর্ণ। ’