প্রতিবার বিপিএল অথবা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ এলেই চলে আসতো প্রসঙ্গটি। বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন কোচের দায়িত্ব নিলে শুরু হতো সমালোচনা।অনেকেই সামনে নিয়ে আসতেন কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বা স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি।
এবার আর এই সমালোচনা নেই সুজনের সঙ্গে। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ার পর দায়িত্বে টিকে ছিলেন তিনি। তবে পরে নিজেই বোর্ড পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। লম্বা সময় পর সুজন এখন শুধুই কোচ। ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম দিনের অনুশীলনের পর তাই তার কাছে প্রশ্ন, এবারের বিপিএলে কাজ করতে এসে কি একটু হালকা লাগছে?
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘হালকা তো অবশ্যই লাগছে। স্বার্থের সংঘাত কোনো সময় ছিল বলে আমি মনে করি না। আমি যদি সৎ থাকি, তাহলে কাজ করলে সেটা সমস্যা হয় না। বোর্ডে একসময় আমাকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি সেটা নিইনি। ’
‘কারণ আমি বিপিএল ও প্রিমিয়ার লিগে কাজ করি। আমি ডেভেলপমেন্টের প্রধান ছিলাম। সেখানের ক্রিকেটাররা বেশিরভাগই প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএল খেলে না। তাই স্বার্থের সংঘাতের সুযোগ ছিল কম। তবে এটাকে অনেকে সেভাবে রস দিয়েছে, বানিয়েছে। তাই অনেক কথা হয়েছে। ’
৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বোর্ড চলছে জোড়াতালি দিয়ে। ১০ জন পরিচালকই বিসিবি চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে এখনও বণ্টন করা হয়নি স্থায়ী কমিটির বেশির ভাগই। এ নিয়েও কথা বলেছেন সুজন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি তো শেষ বোর্ডে কবে আসছিলাম ভুলে গেছি আসলে। অনেকদিন পর বোর্ডে আসলাম। আমি তো বাসায় পত্রিকা রাখি না। নিউজ দেখি না। ফেসবুক থেকে বাইরে। ইউটিউবে মাঝে মাঝে কন্টেন্ট দেখি। তো যেটা হয় ওইটাই জানি। এটা নিয়ে আপনি ভালো বলতে পারবেন। প্রতিদিন আসো, তোমাদের এখানে কাজ থাকে। ’
‘অবশ্যই তারা চেষ্টা করছে প্রপারলি ভালোভাবে যেই স্বপ্ন নিয়ে তারা দেখতে চেয়েছিলেন। আমরা হয়তোবা ভালো করতে পারিনি, সেটা করার কথা ভালোভাবে। বাট কে কোন কমিটির দায়িত্ব পেয়েছে সেটা আমি বলতেও পারব না। বাট বিশ্বাস করি, যেইভাবে সে ভালোভাবে চালাবে। আমি বলতে পারব না, এটা আমার পার্ট না। আমার উত্তর দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অনেক বিচক্ষণ লোকেরা ক্রিকেট বোর্ডে আছে। তারা ভালো বলতে পারবে, কোনটা বণ্টন করার সঠিক সময়। ’