ব্যাট হাতে রান না পেলেও অধিনায়ক হিসেবে দারুণ সফল লিটন দাস। তার নেতৃত্বে প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।এমন সাফল্যের পর এই ফরম্যাটে তাকে অধিনায়ক করা হবে কি না এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিসিবিও স্থায়ী অধিনায়ক খুঁজছে। গত অক্টোবরে জাতীয় দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনজুরিতে দলের বাইরে থাকা শান্তর জায়গায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডের নেতৃত্ব দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন লিটন।
দেশকে স্মরণীয় মুহূর্ত এনে দেওয়ার পর লিটন নিজেও স্থায়ীভাবে নেতৃত্ব দিতে রাজি। তবে সিদ্ধান্তের বলটা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোর্টে ঠেলে দিলেন তিনি। তৃতীয় ম্যাচ শেষে অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বিসিবি যদি চায় অধিনায়কত্ব করতে রাজি আছি। দ্বিমত থাকার কথা না। এটা উপভোগ করছি।
অধিনায়কত্ব করতে গিয়ে যে সাফল্য পেয়েছেন, সেজন্য দলের বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে লিটন বলেন, ‘বোলাররা ভালো করলে অধিনায়কত্বের কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমাদের বোলাররা এখন নিজে থেকে জানে কীভাবে ফিল্ডিং সেটআপ করতে হয়। এতে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। এত দিন ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বোলাররা যেভাবে সামর্থ্য দেখাচ্ছে তাতে মাঠ নিয়ন্ত্রণ করা আমার জন্য সহজ হচ্ছে। ’
নিজের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েও কথা বলেছেন লিটন। ফর্মে ফিরতে কাজ করছেন বলেও জানালেন তিনি, ‘ব্যাটিং নিয়ে সালাউদ্দিন স্যারের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করছি। তিনি সবার সঙ্গে খুবই উন্মুক্ত আলোচনা করেন এবং ছোটবেলা থেকে আমাদের চেনেন। আমার বিশ্বাস, খুব দ্রুতই ফর্মে ফিরতে পারব। ’
আজ শুক্রবার সকালে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে সফরকারীরা। ওই রান তাড়া করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানের বেশি করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। আর তাতে তিন ম্যাচের সিরিজে সবগুলোতেই জিতলো বাংলাদেশ।