আজকাল রাস্তায় চলতে গেলে এই দৃশ্য খুব বেশি চোখে পড়ে যে, কেউ কেউ মুখে মাস্ক লাগিয়ে ঘুরছেন। ধুলোবালির কারণে এলার্জির আশঙ্কা থাকে, আবার অনেকের শ্বাসকষ্ট আছে বলে ধুলোবালি এড়িয়ে চলেন। তবে শুধু বাইরের ধুলোবালি এড়িয়ে চললেই হবে না। ঘরের ভেতরও অনেক সময় ধুলোবালি জমে। সেগুলোর কারণেও দেখা দিতে পারে নানা রকমের অসুখ। আর এজন্য ঘরে ও বাইরে এড়িয়ে চলতে পারলে এসব সমস্যা মোকাবেলা করে চলা সম্ভব।
করণীয়
ঘরের মেঝের সৌন্দর্যবর্ধক কার্পেট বা ম্যাট অনেক ধুলোবালি ধরে রাখে, যা নাক দিয়ে নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে হাঁপানি বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগের মধ্যে ৯৮ শতাংশ হয়ে থাকে এই ধুলোবালির কারণে। এ ছাড়া আপনার ঘরের বালিশের কভার, কার্পেট ম্যাট্রেস, তোশকও ধুলোবালি ধরে রাখে। পশমের চেয়ে সিনথেটিক দিয়ে তৈরি বিছানা বা শয্যার কাপড়-চোপড় ব্যবহার করা ভালো। এগুলোতে ধুলোবালি কম আটকে থাকে।
সুতির বালিশের কভার, বিছানার চাদর সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও ধুয়ে নিন। কম্বল শীতকালে মাসে একবার ধুয়ে বা শুকনো পরিষ্কার করুন। এজন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে। আবার এয়ার ফিল্টারও ব্যবহার করা যেতে পারে। শোবার ঘর প্রতিদিন মুছে জীবাণুমুক্ত স্প্রে ছিটিয়ে দিতে পারেন। ঘরের বই, পত্রিকা, কাগজেও ধুলোবালি জমে। এগুলোও ঝেড়ে-মুছে রাখুন। প্রয়োজনে এয়ার ক্লিনার বা ফ্রেশনার ব্যবহার করুন। যদি সম্ভব হয়, আপনার ঘরে মাইক্রোগ্রেড অ্যালার্জেন ফিল্টারের সঙ্গে এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করুন। এটা দিয়ে সপ্তাহে একবার পরিষ্কার করাই যথেষ্ট। আর এসব মেনে চললেই এই গ্রীষ্মে ঘরের ধুলোবালি থেকে অর্থাত্ শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে পারেন আপনি এবং আপনার পরিবার।