কুটির শিল্পের মতো করে ভৈরবে গড়ে উঠেছে হাতে তৈরি জুতার কারখানা। এই ঈদ মৌসুমের ব্যস্ততা শেষে মালিক-শ্রমিকরা সন্তুষ্ট। কিশোরগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র ভৈরবে পাদুকাশিল্পের যাত্রা শুরু ১৯৮৯ সালে। দেশের সবচেয়ে বড় পাদুকা প্রস্তুতকারক এলাকা এটি। ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার কারখানা গড়ে উঠেছে ভৈরবে। ভৈরবে বক্স তৈরির কারখানাই শতাধিক। উপকরণ জোগান দেয়ার দোকানও ৫ থেকে ৬শ’। ভৈরবের পাদুকা শিল্পে জড়িত দুই লাখের মতো মানুষ। ঈদ বাজারের চাহিদা মেটাতে পুরো রমজান মাস ব্যস্ততায় কেটেছে তাদের।
ঈদ বাজারের বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট কারখানা মালিকরা। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বেড়েছে উপকরণের দাম। বাংলাদেশের একটি উপজেলার কুটির শিল্পেও যার প্রভাব পড়েছে।
ঈদ, পূজা বা পালা-পার্বণে নতুন জুতার চাহিদা মেটায় ভৈবরের পাদুকা শিল্প। রপ্তানি বাজারও বাড়ছে দিন দিন। সহজ শর্তে ঋণ পেলে আরও শক্তিশালী হতে পারে এ শিল্প। অবদান রাখতে পারে জাতীয় অর্থনীতিতে।
ভৈরবের হাতের তৈরি জুতা আন্তর্জাতিক বাজারেরও নজর কেড়েছে। ২০২১ সালে ভৈরবের পাদুকা শিল্প পরিদর্শন করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল।