কুমিল্লায় কেএফসিতে ভাঙচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজন হলেন- সদর দক্ষিণ উপজেলার মাটিয়ার গ্রামের সাফায়েত মজুমদার (২৭) ও নগরের কাপ্তান বাজার এলাকার মো. জিহাদ হোসেন (২১)।বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
কান্দিরপাড় ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ রকিবুল ইসলাম জানান, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে এ হামলা-আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে সোমবার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মতো বাংলাদেশেও বিক্ষোভ-মিছিল হয়। যার আওতায় ছিল কুমিল্লাও। বিক্ষোভের পর সন্ধ্যায় কুমিল্লার রানীরবাজারের কেএফসিতে (বিশ্বব্যাপী চেইন রেস্টুরেন্ট) হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে করা এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০-৩২ জনকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, সোমবার কেএফসিতে হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ মিলে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের ব্যাপারে আইননানুগ ব্যবস্থা নিয়ে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। তবে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় রানীরবাজার এলাকার কেএফসিতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে ২৫ থেকে ৩০ জনের একদল লোক ভবনটির সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিল ও স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পাঁচ থেকে সাতজন যুবক ভবনটির দুই তলায় উঠে ভাঙচুর করেন। আর নিচে থাকা লোকজন ঢিল ও ইট মেরে কেএফসির কাচ ভেঙে দেন। হামলাকারীরা ভেতরে থাকা আসবাবে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। এর আগে হামলার আশঙ্কায় বিকেলেই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে চলে যান দায়িত্বশীলরা। বন্ধ প্রতিষ্ঠানেই হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। ভাঙচুরের তিন-চার মিনিটের মধ্যেই হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়।