রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ১৪ আগস্ট থেকে যাত্রী পারাপার শুরু

রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ১৪ আগস্ট থেকে যাত্রী পারাপার শুরু

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার।  সব ঠিক থাকলে আগামী ১৪ আগস্ট যাত্রী পারাপার কার্যক্রম শুরু হবে।ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে এই সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে ভারত।

বুধবার (৩১ জুলাই) রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক মো. সরওয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুই দেশে যাত্রী পারাপারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রামগড় ইমিগ্রেশন ভবনে এক ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সভায় ১৪ আগস্ট যাত্রী পারাপার চালুর বিয়ষটি নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বলেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক মো. সরওয়ার আলম বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাপেক্ষে দুই দেশের নাগরিকরা মৈত্রী সেতু পারাপারের সুযোগ পাবেন। তবে স্থলবন্দর কার্যক্রম খুব সহসা চালু হচ্ছে না। অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হওয়ার পণ্য পরিবহন পরিবহন কার্যক্রম শুরু হতে আরও সময়ের প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য পরিবহন করা যাবে।  

একইসঙ্গে ইমিগ্রেশন স্টেশন চালু হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আশপাশ এলাকার মানুষ রামগড় ও সাব্রুম সীমান্ত পথে সহজে ভারতে ভ্রমণে যেতে পারবেন। একইভাবে ভারতের ত্রিপুরাসহ আশেপাশের রাজ্যের মানুষও এ সীমান্ত পথে বাংলদেশে ভ্রমণে আসবেন। সব মিলে বাড়বে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটনসহ বিকশিত হবে পাহাড়ের অর্থনীতি।

এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে সে দেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালের ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুটি-১ এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন এবং ২০২১ সালের ৯ মার্চ সেতুটির উদ্বোধন করেন। এটি দেশের প্রথম মৈত্রি সেতু। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগড় আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS