ক্রিস্তিয়ান মেদিনার হেড জালে জড়ালে সমতা ফেরানোর স্বস্তি পায় আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল। এরপর গ্যালারি ছেড়ে মাঠের মধ্যেই দর্শকের হট্টগোল।তাই বাঁশি বাজান রেফারি। অনেকেই হয়তো ভেবেছিলেন খেলা শেষের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আদতে তা ছিল ম্যাচ স্থগিতের ইঙ্গিত।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর আর্জেন্টিনার সেই সমতা ফেরানো গোল বাতিল করেন রেফারি। ভিএআরে দেখা যায় গোলের আগে অফসাইডে ছিলেন আর্জেন্টিনার ব্রুনো আমোনি। শুধু তা-ই নয়, অতিরিক্ত তিন মিনিটের জন্য আবারও খেলা শুরুর ঘোষণা দেন রেফারি। সেই তিন মিনিটে গোল আদায় করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। যার ফলে জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে স্বাদ মরক্কো অনূর্ধ্ব-২৩ দল। অলিম্পিক ফুটবলে শুরুটা তারা করল আর্জেন্টিনাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে।
স্তাদে জেফরয়-গিচার্দ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের শেষ দিকে এগিয়ে যায় মরক্কো। বিলাল এল খানুসের পাস পেয়ে কাছাকাছি জায়গা থেকে গোলটি করেন সুফিয়ান রাহিমি।
বিরতির পর এই রাহিমির পা থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে মরক্কো। ৪৯ মিনিটে বক্সের ভেতর ইলিয়াস আখোমাখকে ফাউল করে বসেন আর্জেন্টাইন লেফটব্যাক হুলিও সোলার।
স্পট কিক থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি রাহিমি।
দুই গোলে পিছিয়ে গিয়ে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরও আত্মবিশ্বাস হারায়নি আর্জেন্টিনা।
৬৮ মিনিটে সোলারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল শোধ দেন গিলিয়ানো সিমিওনে। আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনের ছেলে তিনি।
তবুও ম্যাচশেষের সময় যত ঘনিয়ে আসছিল ততই যেন বাড়ছিল আর্জেন্টিনার হারের শঙ্কা। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা হয় ১৫ মিনিটের ইনজুরি টাইম।
এরই শেষ মুহূর্তে গোলটি করেন মেদিনা। কিন্তু রিপ্লে দেখে তা বাতিল করেন রেফারি৷
দর্শক মাঠের মধ্যে হট্টগোল শুরু করলে স্থগিতের পর বাকি তিন মিনিটের খেলা হয় রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে।