নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজবে। এ সরকারের হাতে কোনো টাকা নেই।বাজেটের জন্য টাকা জোগান দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। ডলার নেই, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানির জন্য মানুষ এলসি করতে পারছে না। এ সরকার পাঁচ বছর কীভাবে টিকবে? বাজেটের জন্য বিদেশে হাত পাততে হচ্ছে। এ সরকার দেশ চালাতে পারবে না।
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেল ৫টায় ময়মনসিংহ নগরের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলরুমে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ প্রতিনিধি সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, পুলিশ, আর্মি, বিজিবিসহ সবকিছু নিয়ে সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। আওয়ামী চোর বাটপার লুটেরা তৈরির দল। তাদেরকে সর্বাত্মকভাবে বর্জন করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন ভারতের সাহায্যে তারা ক্ষমতায় টিকে আছে। কিন্তু জনগণ না থাকলে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। চীন, রাশিয়া, ভারত সবাই এ সরকারের কাছে টাকা পায়। ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সরকারের। কিন্তু সরকারের কাছে কোনো টাকা নেই।
মান্না বলেন, আমরা সবাই যুগপৎ আন্দোলনে আছি। চূড়ান্ত লড়াই করব। ক্ষমতায় গেলে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব। সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। লড়াই করলে এ সরকার টিকতে পারবে না।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেছেন, দেশের জনগণ সরকারকে বিদায় দিতে মুখিয়ে আছে। সঞ্চয় ভেঙে মানুষ খাবার কিনছে। অথচ সরকার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের লোক জনগণের সম্পদ চুষে বিদেশে পাচার করছে। আর সরকার তাদের পাহারা দিচ্ছে। বাংলাদেশের যত গুম খুন সব হয়েছে আজিজ ও বেনজীরের সময়ে। এখন ওবায়দুল কাদের বলেন বেনজীর আজিজ তাদের লোক নয়। তারা সেনা ও পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছে।
সাকি আরও বলেন, এ বাজেট বেনজীরের বাজেট। বেনজীর ও আজিজদের রক্ষা করার বাজেট। এ বাজেটে বৈধ আয়ে ৩০ ভাগ আর দুর্নীতির টাকা ১৫ ভাগ ট্যাক্স দিতে হবে। এ বাজেট জনগণের কোনো কাজে আসবে না।
এ সময় ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি মাহাবুবুল আলম জুয়েলের সভাপতিত্বে সভাটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং আমিরুল ইসলাম।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার নেতাকর্মীরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।