টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভ্রমণসূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কা। শুধু তা-ই নয়, আইসিসির কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছে দলটি।প্রথমবারের মতো এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০টি দল। তবে এর মধ্যে কেবল শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসকে গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচ খেলতে হচ্ছে চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে। প্রতি ম্যাচ শেষেই হোটেল ছেড়ে ফ্লাইট ধরার তাড়া।
গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের পর দেড় ঘণ্টার দূরের হোটেলে গিয়ে চেকআউট শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ডালাসের ফ্লাইট ধরতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা দলকে। এর আগে ৭ ঘণ্টা ফ্লাইট বিলম্বের কারণে মায়ামি এয়ারপোর্টে বসে থাকতে হয়েছে তাদের। আইসিসির এমন ব্যবস্থাপনা নিয়ে চটেছেন লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানা। অনেকটা পরোক্ষভাবেই ইঙ্গিত দিলেন পক্ষপাতিত্বের।
থিকশানা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বেশ অন্যায় হয়ে গেছে। প্রতিদিনই ম্যাচের পর হোটেল ছাড়তে হবে আমাদের কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলছি। এটা অন্যায্য। ফ্লোরিডা, মায়ামি থেকে যে ফ্লাইটে চড়েছি আমরা সেজন্য এয়ারপোর্টে প্রায় আটঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমাদের রাত ৮টায় চলে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু আমরা ফ্লাইট পেয়েছে সকাল ৫টায়। সত্যিই অন্যায্য আমাদের জন্য। তবে যখন খেলতে নামব তখন এসব কোনো গুরুত্ব রাখে না। ‘
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেড় ঘণ্টার দূরত্বের একটি হোটেলে থাকতে হয়েছে শ্রীলঙ্কা দলকে। এসব তুলে ধরে থিকশানা বলেন, ‘আমি সেই দলগুলোর নাম বলব না, যারা একই জায়গায় থাকার সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু হোটেল থেকে মাঠে যেতে তাদের সময় লাগে কেবল ১৪ মিনিটের। কিন্তু আমাদের প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট ভ্রমণ করতে হয়েছিল। আমি সেই দলগুলোর নাম বলব না, যারা একই ভেন্যুতে খেলতে যাচ্ছে। তাই তারা জানে কন্ডিশন কেমন। তারা একই ভেন্যুতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। কেউই সেই সুবিধা পায়নি। ‘
‘আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি ফ্লোরিডায় এবং আমাদের তৃতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফ্লোরিডাতেই। কিছু জিনিস আছে যেগুলো সবাই আগামী আসরে পুনর্বিবেচনা করবে বলে আমি মনে করি। কারণ এ বছর কিছুই পরিবর্তন হবে না। ‘