প্রথম ম্যাচের শুরুর দিকেই যা, এর বাইরে পুরো ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে চাপেই ফেলতে পারলো না বাংলাদেশের মেয়েরা। শুরুতে অল্প রানে অলআউট হওয়ার পর তৃতীয় ওয়ানডেতেও বড় হার সঙ্গী হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। শুরুতে ব্যাট করে ৮৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ওই রান ১৮ ওভার ৩ বলে তাড়া করে সফরকারীরা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরও একবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এই সিরিজের তিন ম্যাচে একবারও তিন অঙ্কে নিতে পারেনি দলীয় সংগ্রহ। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন সুমাইয়া আক্তার।
অ্যালাসি প্যারির বলে আউট হওয়ার সময় তিন বলে তার রান শূন্য। দলের সংগ্রহেও তখনও কোনো রান যোগ হয়নি। সুমাইয়া আউটের পর ওয়াইড দিয়ে রানের খাতা খোলে বাংলাদেশ।
পরের ওভারে কিম গার্থকে বাউন্ডারি হাঁকান ফারজানা হক। কিন্তু ওই ওভারের শেষ বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান ফারজানা হক। ১৪ বলে তিনি করেন কেবল ৫ রান।
মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলাতানা জ্যোতি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন এরপর। কিন্তু অষ্টম ওভারে গিয়ে ভেঙে যায় সেটি। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২১ বলে ৮ রান করেন মুর্শিদা। তার সঙ্গে জ্যোতির জুটি ছিল ২৮ বলে ১৬ রানের।
পাওয়ার প্লের পরের ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন কিম গার্থ। রিতু মণি ৯ বলে ১ ও ফাহিমা খাতুন আউট হন দুই বলে শূন্য রান করে।
এরপরই স্বর্ণা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির জুটিতে আশা খুঁজে পায় বাংলাদেশ। তাদের হাত ধরে আসে বাউন্ডারিও। কিন্তু মলিনিউক্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জ্যোতি। ৩৯ বলে দুই চারে ১৬ রান করেন তিনি। স্বর্ণার সঙ্গে ৩৯ বলে ২১ রানের জুটি ছিল তার।
নিয়মিত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন স্বর্ণা। নবম ব্যাটার হিসেবে ২৭ বলে ১০ রান করে তিনি আউট হন। শেষ উইকেটে এসে সবচেয়ে বড় জুটির দেখা পায় বাংলাদেশ। মারুফা আক্তারের সঙ্গে সুলতানা খাতুনের জুটি ছিল ২২ বলে ২৬ রানের।
২ চারে ১১ বলে ১০ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন সুলতানা। ১৪ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মারুফা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন কিম গার্থ ও অ্যাশলি গার্ডনার।
রান তাড়ায় নেমে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। ২৭ বলে ১২ রান করে হোবে লিচফিল্ডের ক্যাচ নিজের বলে নিজেই নেন সুলতানা। পরে আরেক ওপেনার এলিসা হিলিকে আউট করেন রাবেয়া খান। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচ অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে গেছে। ৩৪ বলে ৩৯ রানের জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এলিসা পেরি ও বেথ মনি। ২৮ বলে ২৭ রান করে পেরি ও ২২ বলে ২১ রান করেন মনি।