হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক সেবার ব্যয় বাড়ালো সরকার। ফলে ভেরিয়েশন বাবদ ২০ কোটি ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩২০ টাকা ব্যয় বাড়লো।
বুধবার (৩১জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। নতুন সরকারের অধীনে এটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, হাওর এলাকায় বন্যা ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন প্রকল্প (বাপাউবো অংশ) শীর্ষক প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা, নকশা, তত্ত্বাবধান এবং অন্যান্য সম্পর্কিত পরিষেবা কাজের পরামর্শক সেবার ভেরিয়েশন প্রস্তাব এসেছিল। ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিপ্পন কোই কোং লিমিটেডের দ্বিতীয় সংশোধিত চুক্তি (মূল চুক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত চুক্তি) সম্পাদনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৮ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ৪৬০ টাকা। সেখানে মূল চুক্তি মূল্য ছিল ৮৮ কোটি ৩২ লাখ ২৮ হাজার ১৪০ টাকা। সে হিসাবে ব্যয় বাড়লো ২০ কোটি তিন লাখ ৯২ হাজার ৩২০ টাকা।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর (২০২১ সনের সর্বশেষ সংশোধনসহ) আওতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন শীর্ষক প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জার্মানির আইএলএফ কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ার্সের সঙ্গে দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৪ কোটি ৭০ লাখ ৮ হাজার ৮০৯ টাকা।
এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর (২০২১ সনের সর্বশেষ সংশোধনসহ) আওতায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিত (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন শীর্ষক প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার সিপিপিইসির সঙ্গে ৪৫ সাপ্লিমেন্টারি চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৮২ কোটি ৮২ লাখ ৩১ হাজার ৩৩০ টাকা।