তখনও খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রাইডার্সের অনুশীলন চলছে বেশ জোরেসরে। এর মধ্যেই কালোর মধ্যে লাল রংয়ের হুডি পরে একসঙ্গে এলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।নেট বোলার, কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেটারদের মিলিয়ে প্রায় জনা চল্লিশের সেই দলেও নির্দিষ্ট কাউকেই খুঁজলেন উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে থাকা একজন।
‘মাশরাফি ভাই কি আসেনি?’ কৌতূহলী মনের খোরাক মেটাতে জানতে চাইলেন পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিকের কাছে। প্রথম ম্যাচে বল করেছিলেন আড়াই ওভার। দ্বিতীয়টিতে করেনইনি। ব্যাট হাতে তিনে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি। ফিটনেস যে প্রায় শূন্যের পর্যায়ে সেটিও স্পষ্ট।
তবুও মাশরাফি বিন মুর্তজার বিপিএল খেলা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সাবেক দুই অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ও আকরাম খান বলেছেন ‘টুর্নামেন্টের ইমেজ সংকটের’ কথাও। মাশরাফিও বলেছেন তার খেলা আদর্শ নয়। তবে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক ও সতীর্থদের সমর্থন এখনও মাশরাফির জন্যই।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের পেসার তানজিম হাসান সাকিব যেমন বৃহস্পতিবার সিলেটে বলেছেন, ‘মাশরাফি ভাই যোদ্ধা এবং উনি নেতা। আমি ছোটবেলা থেকে উনার খেলা দেখে দেখেই বড় হয়েছি। মাশরাফি ভাই-সাকিব ভাই, উনাদের খেলা দেখে দেখে বড় হয়েছি। আপনি জানেন উনার পায়ে অনেকগুলো অস্ত্রোপচার হয়েছে এরপরেও দেশের জন্য খেলে গেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অনুপ্রেরণা। ’
‘এটা বলব, উনি রোল মডেল আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য। বিশেষ করে পেস বোলারদের জন্য। উনি ব্যথাকে ব্যথা হিসেবে কখনওই নেননি। আমরা যারা তরুণ আছি, আমাদেরকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দেয়। উনার মতো নেতা যদি ড্রেসিংরুমে থাকে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। ’
সিলেটে আসার পর থেকেই সমর্থকদের দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরও গ্যালারিতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য ছিল উপচে পড়া সমর্থন। এ নিয়ে তানজিম সাকিব বলেন, ‘সিলেটে যখনই আমরা খেলতে আসি আমরা অনেক ভালো দর্শক পাই, সমর্থন পাই। অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমরা সব সময় সিলেটে সাপোর্ট পেয়ে থাকি। ’