আজ বিকেলে কেপিজে হাসপাতালে তামিম ইকবালকে দেখতে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেছিলেন, তাকে এখন মুভ করা রিস্কি হবে। তবে রিবারিক সিদ্ধান্তে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হয়েছে তামিমকে।
সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সাভার থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে রওনা হন তামিম। এরপর ৮.৩৭ মিনিটে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স এভারকেয়ার হাসপাতালে এসে পৌঁছায়। উন্নত চিকিৎসার জন্যই সাভার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে দেশসেরা এই ওপেনারকে। আজ রাত ১০টায় ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তাকে দেখার জন্য হাসপাতালে আসার কথা রয়েছে।
এর আগে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তারা জানিয়েছেন, তামিম ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’ পেরিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ। তবে আরও কয়েকদিন সতর্ক থাকতে হবে তাকে।
কাল সারা রাত সিসিইউতে পর্যবেক্ষণে থাকার পর আজ সকালে কেবিনে নেওয়া হয়েছে তামিমকে। সেখানে তিনি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন, খাবার খেয়েছেন এবং হাঁটার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সকালের দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তামিম। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলা শুরুর আগে নির্ধারিত সময়ে টসও করেছেন অধিনায়ক তামিম। কিন্তু পরে আর ফিল্ডিংয়ে নামতে পারেননি তিনি।
খেলা শুরুর আগে বুকে ব্যথা অনুভব করায় বিকেএসপির কাছেই বেগম ফজিলাতুন্নেসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এনজিওগ্রাম করে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন তামিম। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। হাসপাতাল থেকে তামিমকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হয় হেলিকপ্টার যোগে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা করা যায়নি।
হার্ট অ্যাটাকের পর তামিমের শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছিল। হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। যে কারণে তাকে ২২ মিনিট ধরে সিপিআর এবং ৩ বার ডিসি শক দিতে হয়েছে। তামিম যে পর্যায়ে চলে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তার ফেরার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই ক্ষীণ। খুব কম রোগীই সেখান থেকে ফিরে আসতে পারেন। পরে ওই হাসপাতালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়। হার্টে রিং পরানোর পর তামিমের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। জ্ঞানও ফেরে দ্রুতই। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।