জাপানে ৩৬ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত শিনজি আওবাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত।
২০১৯ সালের ১৮ জুলাই দেশটির কিয়োটো অ্যানিমেশন স্টুডিওতে অগ্নিসংযোগে ৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটে।
কিয়োটো জেলা আদালত বৃহস্পতিবার বলেছেন, ৪৫ বছর বয়সী শিনজি আওবাকে হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং অন্যান্য অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেশটির জাতীয় টেলিভিশন এনএইচকে বিচারক কেইসুকে মাসুদাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, সে হামলা তাৎক্ষণিকভাবে স্টুডিওটিকে নরকে পরিণত করেছিল এবং ৩৬ জনের মূল্যবান জীবন নিয়েছিল। তখন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছিলেন আক্রমণের দিন সকালে আওবা বিল্ডিং ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তারপর নিচতলায় পেট্রল ছড়িয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করে।
শিনজি আওবা হামলার দায় স্বীকার করেছেন তবে তার আইনজীবীরা ‘মানসিক অক্ষমতা’ এর ভিত্তিতে লঘু শাস্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।
বৃহস্পতিবার কিয়োটো জেলা আদালতে প্রধান বিচারক মাসুদা বলেছেন, আমি জানতে পেরেছি অপরাধের সময় আসামি মানসিকভাবে পাগল বা দুর্বল ছিল না।
জাপানি সম্প্রচারকারী এনএইচকে তাকে বলেছেন, ৩৬ জনের মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর এবং দুঃখজনক। নিহতদের ভয় ও বেদনা ছিল বর্ণনাতীত।
ওইদিন আগুন ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টুডিওর ওপরের তলায় আটকা পড়ে অনেক অ্যানিমেশন কর্মী-তরুণ শিল্পী মারা যান।
হামলাটি সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনাগুলোর অন্যতম। এ ঘটনায় জাপানে জাতীয় শোক পালন করা হয়। দেশটির জনসাধারণ ও গণমাধ্যম নিবিড়ভাবে মামলাটি অনুসরণ করেছে।
ঘটনার ব্যাপারে ওই সময় পুলিশ জানায়, হামলাকারী কিয়োটো অ্যানিমেশন কোম্পানির স্টুডিও ভেঙে প্রবেশ করে চারদিকে তরল ছিটিয়ে দিয়েছিল। আগুন লাগানোর সময়েও তাকে চিৎকার করতে শোনা গিয়েছিল। আগুনে সে নিজেও পুড়ে যাওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আওবার সঙ্গে স্টুডিও কোম্পানির সম্পর্ক কী এবং তার আগুন লাগানোর উদ্দেশ্য স্পষ্ট ছিল না। তবে জাপানের গণমাধ্যমের খবরে তখন বলা হয়েছিল, স্টুডিওটি আওবার উপন্যাস চুরি করেছে এমন বিশ্বাস থেকেই তিনি স্টুডিওতে আগুন দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরাও তাকে বলতে শুনেছিল তার আইডিয়া চুরি করেছে ওই সংস্থা।
সূত্র: আল জাজিরা