প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। এ কথাটি সব সময় বলা হয়, কিন্তু এর পেছনে কী কারণ রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক:
ওজন নিয়ন্ত্রণে: ওজন কমাতে উপকারী একটি খাবার হতে পারে আপেল।কারণ এই ফলটিতে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি। এ উপাদান আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে ও ক্ষুধা লাগে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে নিয়মিত আপেল খেতে পারেন।
কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি: যদি প্রতিদিন আপেল খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বের দূর করবে। এর ফলে কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি।
হজমের সমস্যা: আপেলে থাকা পেক্টিন নামক উপাদান প্রিবায়োটিকের কাজ করে। এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমের সমস্যা দূর করে। তাই হজম ভালো রাখার জন্য আপনাকে প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়া উচিত।
ক্যানসারের ঝুঁকিতে: আপেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মরণব্যাধি ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সাদা ঝকঝকে দাঁত পেতে: আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়। আপেলের রস আপনার দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া দাঁতের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। ফলে দাঁত ভালো থাকে এবং দাঁত শক্ত ও মজবুত করে থাকে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আপেলের মধ্যে কুয়েরসেটিন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়: আপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে যা ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখে: আপেল ত্বক মলিন রাখে এবং মুখের ত্বকের জেল্লা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত প্রতিদিন আপেল খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়। শুধু তাই নয়, সুস্থ থাকতে দিনে আপেল একটি খেলেই যথেষ্ট। আরেকটি বিষয়, আপেলের বীজ খাওয়া যাবে না, কারণ এতে শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর সায়ানাইড নামক বিষ থাকে।