ডেভন কনওয়ে শূন্যতে ফিরলেও ফিন অ্যালেনের ব্যাটে আসে দারুণ শুরু। কেইন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের অর্ধশতকের পর গ্লেন ফিলিপস ও মার্ক চ্যাপম্যানের কামিও ইনিংসে ২২৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড।এর চেয়ে বড় লক্ষ্য আগে কখনো পায়নি পাকিস্তান। ৪০৬ রানের ম্যাচে ৪৬ রানে হেরে সিরিজ শুরু করে সফরকারীরা।
অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২২৬ রান করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কনওয়েকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন শাহিন আফ্রিদি। তবে ফিন অ্যালেনের ১৫ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে পাওয়ার প্লে’তে ৫৬ রানের সংগ্রহ পায় কিউইরা। ডানহাতি এই ব্যাটারকে থামান আব্বাস আফ্রিদি।
অ্যালেনের বেঁধে দেওয়া সুরেই ব্যাট করতে থাকেন মিচেল। তাকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে ৭৮ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি করে ৪২ বলে ৯ চারে ৫৭ রানে থামেন কিউই অধিনায়ক। এরপর পাকিস্তানি বোলারদের ওপর আরও চড়াও হয়ে ওঠেন মিচেল। শাহিন আফ্রিদির শিকার হওয়ার আগে ২৭ বলে সমান চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬১ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি এটি।
এর আগে-পরে মিলিয়ে ক্যামিও ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে অবদান রাখেন ফিলিপস ও চ্যাপম্যান। ফিলিপস ১১ বলে ১৯ ও চ্যাপম্যান আউট হন ১১ বলে ২৬ রান করে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শাহিন ও আব্বাস। দুটি শিকার হারিস রউফের।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করে সফরকারীরা। প্রথম দুই ওভারেই তোলে ২৯ রান। এর মধ্যে ৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ২৭ রান করে ফেরেন সাইম আইয়ুব। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান সমান তালে ব্যাট করলেও ২৫ রানের বেশি এগোতে পারেননি।
একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান বাবর আজম। দীর্ঘদিন পর রানে ফিরলেও তা দলের কোনো কাজে আসেনি। ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কার ৫৭ রানের ইনিংসটি বিফলে যায়। এরপর টিম সাউদির তোপে ১৮০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। অধিনায়ক হিসেবে শাহিনের শুরুটা হলো তাই হার দিয়ে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সাউদি সর্বোচ্চ ৪টি, অ্যাডাম মিলনে ও বেন সিয়ার্স দুটি করে উইকেট শিকার করেন। প্রথম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন সাউদি।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ জানুয়ারি হ্যামিল্টনে।