প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ- পাপুয়া নিউ গিনিতে লুটপাট ও দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সৃষ্ট দাঙ্গায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে রাজধানীতেই ৮ জন। খবর রয়টার্সের
এমন পরিস্থিতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীতে ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
সৈনিক, পুলিশ অফিসার ও কারারক্ষীদের বেতনে কাটছাঁটের কারণে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ বুধবার সন্ধ্যায় পোর্ট মোরসবিতে সহিংসতার রূপ নেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীর উত্তরে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে লা শহরেও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ কমিশনার ডেভিড ম্যানিং বলেছেন, পোর্ট মোরসবি এবং লে-তে সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর, সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারি চাকুরিজীবীদের ৫০ ভাগ বেতন কাটছাঁট করা হয়। তারই প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভে নামে পুলিশ, সেনা সদস্যসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় দোকানে-ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলে লুটপাট। যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রাজধানীতে লুটেরা কাঁচের জানালা ভেঙে দোকানে ঢুকছেন, চুরি করা জিনিসপত্র কার্ডবোর্ডের বাক্সে, ট্রলি এবং প্লাস্টিকের বালতিতে ভরছেন। একজন লোককে দেখা গেছে, কাঁধে করে একটা বড় ফ্রিজ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার পাপুয়ার ন্যাশনাল ক্যাপিটাল ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর পাওয়েস পার্কপ একটি রেডিও সম্প্রচারে বলেছেন, আমরা শহরে নজিরবিহীন সংঘর্ষ দেখেছি। যা আমাদের শহর এবং আমাদের দেশের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি।
এদিকে বেতন থেকে কেটে নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জেমস মারপে।
ক্ষমা চেয়ে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটি (বেতন কর্তন) প্রযুক্তিগত ত্রুটি। যার কারণে, সরকারি চাকরিজীবীদের চলতি মাসের বেতন থেকে ১০০ ডলারের মতো অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটা গেছে। এটা পরের মাসের বেতনের সঙ্গে যোগ করে দেওয়া হবে।