মালদ্বীপে আরও বেশি পর্যটক পাঠাতে চীনের কাছে অনুরোধ করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু।
পাঁচ দিনের চীন সফরের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার ফুজিয়ান প্রদেশের মালদ্বীপ বিজনেস ফোরামে বক্তৃতা করেন মুইজ্জু।সেখানে চীনা ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কোভিডের আগে চীন আমাদের প্রধান বাণিজ্য সহযোগী ছিল। আমরা আবার সেই পরিস্থিতিতে ফিরতে চাই। খবর দি ইকোনোমিক টাইমসের।
এ সময় চীনা পর্যটকদের আরও বেশি করে মালদ্বীপে যাওয়ার আবেদন জানান মুইজ্জু। এই সফরে মালদ্বীপে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ার জন্য চীনের সঙ্গে ৫ কোটি ডলারের একটি চুক্তিও সই করেছেন তিনি।
মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার পর থেকে কমপক্ষে ১৪ হাজার হোটেল বুকিং এবং প্রায় চার হাজার বিমানের টিকিট বাতিল করেছেন ভারতীয়রা, যা মালদ্বীপের পর্যটন এবং অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই পাঁচ দিনের চীন সফর শুরু করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু ও তার প্রতিনিধিদল। মালদ্বীপের বিগত প্রেসিডেন্টরা নির্বাচিত হয়েই প্রথমে দিল্লি সফর করেছেন। কিন্তু প্রথা ভেঙে প্রথমেই বেইজিংয়ে গেলেন মুইজ্জু।
তার সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে মালদ্বীপে আরও বেশি চীনা বিনিয়োগ ও বাণিজ্য আকৃষ্ট করা। এ ছাড়া পর্যটননির্ভর দেশটি চীনা পর্যটকদেরও টানতে চায়।
মালদ্বীপে ২০১৯ সালে যেসব দেশের পর্যটকেরা গেছেন, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল চীন। তবে করোনা মহামারিতে ২০২২ সালে তা কমে যায়। ভারতীয়দের মধ্যেও জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য মালদ্বীপ।
গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফর করেন। সেই সফরের কিছু ছবি-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। মালদ্বীপের বদলে তিনি ভারতীয়দের সেই দ্বীপে ভ্রমণের আহ্বান জানান। এরপরই মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীসহ কয়েকজন নেতা মোদিকে নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেন।
সেই মন্তব্যের জেরে অনেক ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে তাদের মালদ্বীপ সফর বাতিল করার কথা জানান। ভারতে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে তলব করে নয়াদিল্লি।
মুইজ্জু সরকার অবমাননাকর মন্তব্যকারী সেই তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছে।