জীবনটা বড্ড বিরক্তিকর হয়ে যায়। প্রতিদিন একই নিয়মের শিকলে বন্দি থাকতে কারোই ভালো লাগে না। এই ভালো না লাগাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলে মেনোটনি। মেনোটনি শুরু হলে সবকিছুই মন্দ লাগে। অনেকেই নিঃসঙ্গতায় প্রিয় মানুষদের বিরক্ত করেন। সেটা একপাক্ষিক হতে পারে। এ বিষয়ে ইডেন মহিলা কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ইরিনি ফেরদৌস দিচ্ছেন কিছু পরামর্শ:
কাজের মাঝে বিরতি রাখুন
কাজের মাঝে বিরতি না রাখলে মেনোটনি থাকতেই পারে। একটানা কাজ করলে মস্তিষ্কের ওপর যে আবহ তৈরি হয় তা একসময় বিরক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
একপাক্ষিক প্রেম নয়
অনেক সময় একঘেয়েমি হয়তো চলে আসে একপাক্ষিক প্রেম থেকে। আপনার প্রতি কোনো অনুভূতি বা আপনাকে সংযুক্ত রাখার বিষয়ে অপরপক্ষের ইচ্ছে না থাকতে পারে। কিন্তু আপনি একপাক্ষিকভাবে তাদের জীবনে চাপ তৈরি করে দুজনেরই জীবনে একঘেয়েমি নিয়ে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে সরে আসাই ভালো। বিরক্ত না করাই শ্রেয়।
মেলামেশার চেষ্টা করুন
আপনি হয়তো বুঝতে পারছেন আশেপাশের সবার সঙ্গে এক ধরনের কৃত্রিম সম্পর্ক আপনার। তাও সেগুলো মেনে চলুন। আপনাকে দূর্বল বা করুনা করার প্রবণতা থেকেই অনেক সময় আপনার মধ্যে হীনমন্যতা আসে। অন্যদের সঙ্গে মেকি আচরণে মিশুন। তাদের বুঝতে দিবেন না আপনার অবস্থা। একাই থাকুন যদি মনে হয় একা থাকবেন। তবে সামাজীকিকরণটা রাখুন। একঘেয়েমি একটু কমবে।
সৃজনশীল কাজে সময় ব্যয় করুন
সময় ব্যয় করুন সৃজনশীল কাজে। গান গাওয়া, বাজনা বাজানো, ছবি আঁকা, লেখালেখি বা বই পড়ার মধ্যে ডুব দিন। তাতেও একটু শান্তি পাবেন।
কাজে ছুটি নিয়ে ঘুরুন
কাজের মধ্যে একসময় ছুটি নিয়ে একটা ট্যুর দিয়ে আসুন। এই ট্যুর আপনায় অনেকটাই সাহায্য করবে একঘেয়েমি দূর করতে।