আবহাওয়ার সঙ্গে বদলায় প্রয়োজন, বদলায় জীবনধারা। এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, এই ঝুম। আষাঢ়-শ্রাবণ এবং এই দুই মাস পেরিয়েও কয়েক মাস পর্যন্ত বৃষ্টি নামতে পারে হুটহাট। চারপাশে পিচ্ছিল রাস্তাঘাট, রাস্তায় জমা পানি, মাটির সোঁদা ঘ্রাণ— বর্ষা এলে যেন প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি।
পাহাড় হোক বা সমুদ্র- রাস্তা থাকে পিচ্ছিল। নামতে পারে ধ্বস। সঙ্গী হতে পারে ঝড়ো হাওয়া বা তুফান। তাই এ সময় সচেতন থাকা ভালো। বর্ষায় ভ্ররণ করতে বাড়তি যেসব প্রয়োজনীয় সামগ্রী সঙ্গে রাখবেন—
রেইনকোট ও ছাতা
বর্ষায় ভ্রমণ করতে চাইলে ব্যাগে ছাতা ও রেইনকোট অবশ্যই রাখতে হয়। অকারণে ভিজলে ঘোরার আনন্দই মাটি হবে।
স্যানিটাইজার
সংক্রমণের ঋতু বর্ষা। জ্বর, কনজাঙ্কটিভাইটিস, ইউরিন ইনফেকশনসহ নানান রোগ হয় এ সময়। তাই নিজের পরিচ্ছন্নতায় মনোযোগ দিতে হবে। ব্যাগে রাখুন স্যানিটাইজার। বারবার তা দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিন।
প্রয়োজনীয় ওষুধ
বর্ষায় বাইরের পানি পানে পেটের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়া বাইরে ঘুরতে গেলে সফরের সময় বমি, মাথা ধরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সর্দি-কাশি-জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
জুতা
বর্ষায় ঘুরতে গেলে এমন জুতা পরুন যেন সেটি জলরোধক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। ভেজা জুতা দীর্ঘক্ষণ পায়ে পরলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। সেসঙ্গে জ্বর-ঠান্ডার আশঙ্কাও থাকে। সম্ভব হলে একজোড়া বাড়তি জুতা সঙ্গে রাখুন।
ছোট তোয়ালে
ব্যাগে একটি ছোট তোয়ালে থাকলে বৃষ্টিতে চুল বা শরীর ভিজে গেলে মুছে নিতে পারবেন দ্রুত। এই সময়ের জন্য এমন তোয়ালে বেছে নিন, যা সহজে পানি শোষণ করতে সক্ষম এবং শুকিয়েও যায় সহজে।
প্লাস্টিক জিপলক
ব্যাগে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের জিপলক পাউচ ভরে রাখুন। বৃষ্টির সময় এগুলোতে ফোন, চার্জার, ওষুধ, টাকা পয়সা ইত্যাদি ভরে রাখতে পারবেন। এতে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও বর্ষায় ভ্রমণ করলে সঙ্গে একটু বেশি জামাকাপড় রাখতে হয়। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে পোশাক শুকানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। ভেজা পোশাকে বাজে গন্ধ হয়। আবার ভেজা পোশাক গায়ে দিলে ঠান্ডা লাগারও ভয় থাকে। তাই বেশি করে শুকনো কাপড় সঙ্গে রাখুন যেন চটজলদি পালতে নিতে পারেন।