বড়দিনের ছুটিতে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে। তীব্র ঝড়ে নিহত হয়েছেন ৯ জন।বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে পূর্বাঞ্চলের ৯০ হাজারেরও বেশি পরিবার।
আল জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোয় এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবারের (২৭ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনগুলোয় বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় বড়দিনের ছুটির মধ্যে দেশটির পূর্বাঞ্চলে প্রচণ্ড বজ্রঝড় বয়ে যায়। গত ২৫-২৬ ডিসেম্বর ভিক্টোরিয়া, নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড প্রদেশে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে উড়ে গেছে বহু বাড়িঘরের ছাদ।
ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে। এলাকাগুলো বিদ্যুৎ নেই। ৯০ হাজারের বেশি পরিবার বিদ্যুৎ ছাড়া রয়েছে।
ঝড়ের সময় মোরেটন বে-তে গ্রিন আইল্যান্ডের কাছে ১১ যাত্রীসহ একটি ইয়ট ডুবে যায়। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হন। কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, প্রাদেশিক রাজধানী ব্রিসবেন থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার উত্তরে জিমপি শহরের কাছে দুই নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ব্রিসবেনের দক্ষিণে ঝড়ে কারণে ৯ বছর বয়সী এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যায় ভিক্টোরিয়ার একটি ক্যাম্পগ্রাউন্ডে এক নারীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া গাছ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়ের কারণে কংক্রিটের তৈরি একটি পাওয়ার লাইন ভেঙে পড়েছে। কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার স্টিভেন মাইলস এ ঘটনাকে ‘উল্লেখযোগ্য ও নজিরবিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই বজ্রঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলারের হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো ঝড়ের ব্যাপারে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছিল। সংস্থাটি বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতির কথা বলেছে। এ সময় বৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানকারী জোনাথন হাউ এবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন, আবহাওয়ার উন্নতি হলেও পূর্ব উপকূলজুড়ে এখনও তীব্র বজ্রঝড়ের ঝুঁকি রয়েছে।