৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন এবং ১৪ দলকে ৬ আসন ছেড়ে এসব আসন থেকে নিজেদের নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া এসব আসনে জোটের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক কিংবা তাদের নিজ নিজ দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ আসন সমঝোতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে।
জাতীয় পার্টির জন্য নৌকার যে ২৬ প্রার্থীকে প্রত্যাহার করল আওয়ামী লীগ
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জন্য নৌকার প্রার্থী ইমদাদুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একইভাবে নীলফামারী-৩ আসনে জাতীয় পার্টির রানা মোহাম্মদ সোহেলের জন্য গোলাম মোস্তফা, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমানের জন্য জাকির হোসেন বাবুলকে, রংপুর-১ আসনে হোসেন মকবুল শাহরিয়ারের জন্য রেজাউল করিম রাজুকে, রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদেরের জন্য তুষার কান্তি মণ্ডলকে, কুড়িগ্রাম-১ আসনের জন্য মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য আছলাম হোসেন সওদাগরকে, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদের জন্য জাফর আলীকে, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারীর জন্য আফরুজা বারীকে, গাইবান্ধা-২ আসনে মো. আব্দুর রশিদ সরকারের জন্য মাহবুব আরা বেগম গিনিকে, বগুড়া-২ আসনে শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর জন্য তৌহিদুর রহমান মানিককে, বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদারের জন্য সিরাজুল ইসলাম খান রাজুকে, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামানের জন্য আসাদুজ্জামান বাবুকে, পটুয়াখালী-১ আসনে এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের জন্য মো. আফজাল হোসেনকে, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপুর জন্য সরদার মো. খালেদ হোসেনকে, পিরোজপুর-৩ মাশরেকুল আজম রবির জন্য আশরাফুর রহমানকে, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির জন্য আব্দুল হাই আকন্দকে, ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমামের জন্য আব্দুছ ছাত্তারকে, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক চুন্নুর জন্য নাসিরুল ইসলাম খানকে, মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেলের জন্য আব্দুল সালামকে, ঢাকা-১৮ আসনে শেরীফা কাদেরের জন্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আবদুল মুনিম চৌধুরীর জন্য ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরীকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে আব্দুল হামিদের জন্য শাহজাহান আলমকে, ফেনী-৩ আসনে লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর জন্য মো. আবুল বাশারকে, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জন্য মোহাম্মদ আবদুস সালামকে, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সোলায়মান আলম শেঠ-এর জন্য নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদকে প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আগে থেকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এখানে নির্বাচন করবেন জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান।
১৪ দলীয় জোটের জন্য নৌকার যে ৬ প্রার্থীকে প্রত্যাহার করল আওয়ামী লীগ
ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি ও জাসদকে তিনটি এবং জাতীয় পার্টিকে (জেপি) একটি আসন দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের জন্য তালুকদার মো. ইউনুসকে এবং রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার জন্য মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ।
কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এ আসনে আগে থেকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন দলটি।
এ ছাড়া বগুড়া-৪ আসনে জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের জন্য নৌকার প্রার্থী হেলাল উদ্দিন কবিরাজ এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশাররফ হোসেনের জন্য ফরিদুন্নাহার লাইলীকে প্রত্যাহার করেছে আওয়ামী লীগ।
পিরোজপুর-২ আসনে জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জন্য কানাই লাল বিশ্বাসকে প্রত্যাহার করেছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
এমইউএম/আরএইচ