সব গুঞ্জন ছাপিয়ে প্রধান কোচ ও সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়সহ সব কোচিং স্টাফের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়। তবে দ্রাবিড় ও অন্যান্য কোচিং স্টাফদের দ্বিতীয় মেয়াদে সময়সীমা জানায়নি বিসিসিআই।
বিবৃতিতে বিসিসিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দলকে নতুন রূপে গড়ে তুলতে দ্রাবিড়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি এবং তার অনন্য পেশাদারিত্বকে বোর্ড সাধুবাদ জানাচ্ছে।
এদিকে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক রিপোর্টে জানিয়েছে, অন্তত ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত কোচ দ্রাবিড়, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর এবং বোলিং কোচ পারশ মামব্রসহ অন্য সাপোর্ট স্টাফরা থাকবেন।
ঘরের মাঠে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরমেন্সের পরও শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। টানা ১০ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে টিম ইন্ডিয়া।
বৈশ্বিক এই আসরের ফাইনালে ভারতের হারে গুঞ্জন উঠেছিল, মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভারতের কোচ হিসেবে থাকতে আগ্রহী নন দ্রাবিড়। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আবারও ভারতের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনির মন্তব্য, দ্রাবিড়ের দর্শন, পেশাদারিত্ব এবং পরিশ্রম ভারতের সাফল্যের অন্যতম কারণ। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সর্বদাই অত্যন্ত চাপে থাকতে হয় দ্রাবিড়কে। শুধু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার জন্যই নয়, যেভাবে সাফল্য পেয়েছে; সেজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
এর আগে, দুই বছরের চুক্তিতে ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারতের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন ৫০ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হয়। এই দু’বছরে ভারতকে বহু সাফল্যের স্বাদ দিয়েছেন তিনি।
দ্রাবিড়ের অধীনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে শীর্ষে উঠে ভারত। কিন্তু দ্রাবিড়ের হাত ধরে অধরা আইসিসির কোনো ইভেন্টে শিরোপা জিততে পারেনি ভারত।
২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় এবং ২০২৩ সালের আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরে রানার্স-আপ হয় ভারত। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় টিম ইন্ডিয়া।
এদিকে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে উচ্ছ্বসিত দ্রাবিড়। তার ভাষ্য, গত দুই বছর ভারতীয় দলের সঙ্গে পথচলাটা খুবই স্মরণীয় ছিল। এই পথচলায় একই সঙ্গে আমরা উত্থান-পতন দেখেছি। দলে একের অন্যের প্রতি যে ধরণের আস্থা, সেটি বিস্ময়কর। ড্রেসিংরুমেও সংস্কৃতি নিয়ে আমি গর্ব করি।
বিসিসিআইকে ধন্যবাদ দিয়ে ৫০৯ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা দ্রাবিড়ের মন্তব্য, আমার ওপর এবং আমার লক্ষ্যের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য বিসিসিআইকে ধন্যবাদ জানাই।
দ্বিতীয় মেয়াদে দ্রাবিড়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট হবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। আগামী ১০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি-ওয়ানডে এবং দুই ম্যাচের টেস্ট খেলবে ভারত।