চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন ভারতীয় পেসারর মোহাম্মদ শামি। ইতিমধ্যে ৩ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতের ৩০২ রানের বিশাল জয়ে পাঁচ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ডানহাতি এই পেসার।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে লঙ্কানরা চার উইকেট হারানোর পর বোলিংয়ে আসেন ভারতীয় এই পেসার। শেষ ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টিই শিকার করেন তিনি। পঞ্চম উইকেট নেওয়ার পরপরই মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে সিজদা দিতে গিয়েও থেমে যান শামি।
এ নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানি গণমাধ্যমে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। তবে কি সেই ২০২১-এর দিনগুলো এখনো ভুলতে পারেননি শামি?
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলছেন, অতীতের তিক্ত ঘটনার কারণেই তিনি সেজদা থেকে বিরত থাকতে পারেন।
মূলত ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের কাছে ভারতের পরাজয়ের পর শামিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয়দের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। সে সময় তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়ে ভারতীয় দল থেকে তাকে বাদ দেওয়ার কথাও উঠেছিল।
ক্রিকেটের বাইরেও ব্যক্তিগত জীবনেও মোহাম্মদ শামিকে কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন । ২০১৬ সালে তৎকালীন স্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবিতে ধর্মীয় বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন তিনি।
তখন শামির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ভারতের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। তৎকালীন অধিনায়ক বিরাট কোহলি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে শামিকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দলের পরাজয়ের দায় পুরো দলের এবং কারও ধর্ম নিয়ে আক্রমণ করা সবচেয়ে বেশি দুঃখজনক।
তীব্র ইসলামবিদ্বেষে জর্জরিত সেই শামিই এখন ভারতীয়দের ক্রিকেটে অসাধারণ সাফল্য এনে দিয়েছেন। এখন তিনি বিশ্বকাপে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে তাকে খেলতে হয়েছে মাত্র ১৪ ম্যাচ।
এদিকে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিশ্চিত করেছে ভারত।