ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি জানিয়েছেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না। সাংবাদিক সম্মেলনের সময়েও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে না। নেতানিয়াহুর বক্তব্য, যতক্ষণ ইসরায়েলের জয় নিশ্চিত না হচ্ছে, ততক্ষণ লড়াই অব্যাহত থাকবে। হামাসকে ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস জানিয়েছেন, গাজার বেসামরিক মানুষ আমাদের শত্রু নয়। আমাদের লক্ষ্য হামাস। ওই অঞ্চলের বেসামরিক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন ছিল, আমরা তার সবটাই করেছি। তবে নেতানিয়াহুর মতোই তিনিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আপাতত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কোনো সম্ভাবনাই নেই। হামাসকে নিশ্চিহ্ন করেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক ত্রাণ সংস্থার প্রধান নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইসরায়েলের মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন। ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, হামাসকে শাস্তি দিতে গিয়ে ইসরায়েল সার্বিক শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। সাধারণ বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। গাজায় এখন কোনও জায়গাই নিরাপদ নয়।
বস্তুত, ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজা থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার পরেই তাদের ট্যাঙ্ক এবং স্থলসেনা গাজায় প্রবেশ করেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যেভাবে ইসরায়েলের সেনা গাজায় আক্রমণ চালাচ্ছে, তাতে গাজা স্ট্রিপের কোনো জায়গাই এখন আর নিরাপদ নয়।
এদিকে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে মুখ খুলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে আমেরিকা, এমনই অভিযোগ করেছেন পুতিন। পুতিনের কথায়, এই পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে আমেরিকা এবং তার সহযোগী শক্তিরা। সরাসরি না বললেও, আমেরিকার সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলির কথা উল্লেখ করেছেন পুতিন।
এই সমস্যার একমাত্র সমাধান স্বাধীন এবং সার্বভৌম ফিলিস্তিন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলার জন্যও পশ্চিমা এজেন্সি এবং ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।