কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ে ব্রাজিল। ব্যর্থতার দায় নিয়ে এরপর কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিতে। সেই থেকেই আলোচনার শুরু—কে হবেন ব্রাজিলের পরবর্তী কোচ?
নানাজনের নাম আসে, নানা বিতর্ক হয়; সব আবার থেমেও যায়। কিন্তু ব্রাজিলের স্থায়ী নতুন কোচ আর নেওয়া হয় না। বিশ্বকাপের পর প্রথমে তারা রামন মেনেজেসকে তত্ত্বাবধায়ক কোচের দায়িত্ব দেয়। এরপর তাঁকে সরিয়ে দিয়ে এখন তত্ত্বাবধায়ক কোচ করা হয়েছে ফার্নান্দো দিনিজকে।
মেনেজেসকে কোচ বানানোর আগেই অবশ্য ব্রাজিলের সম্ভাব্য স্থায়ী কোচ হিসেবে নাম শোনা যায় কার্লো আনচেলত্তির। ইতালির এ কোচের নাম শোনার পর তর্কে জড়ান ব্রাজিলের সাবেক খেলোয়াড়েরা। এক পক্ষ বিদেশি কোচের পক্ষে, অন্য পক্ষ বিপক্ষে।
দীর্ঘ আলোচনা আর তর্কবিতর্কের পর ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ( সিবিএফ) বিদেশি কোচ নেওয়ার পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই বিদেশি কোচ হিসেবে তাদের পছন্দ আনচেলত্তি। কিছুদিন আগে খবর আসে, ২০২৪ কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন ইতালিয়ান এই কোচ।
আনচেলত্তি বর্তমানে রিয়াল মাদ্রিদে আছেন। দলটির সঙ্গে তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে চলতি মৌসুম শেষে। সেই হিসাবে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি শেষে ২০২৪-এর কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা আনচেলত্তির আছেই।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যতবারই আনচেলত্তিকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছেন, তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে রিয়ালের সঙ্গে তিনি চুক্তি নবায়ন করবেন কি না, সে বিষয়েও বোঝার কোনো উপায় নেই।
সব মিলিয়ে আনচেলত্তির ব্রাজিল-যাত্রা নিয়ে অনেকের মনেই শঙ্কা আছে। সেসব থেকেই স্পেনের সংবাদমাধ্যম মার্কা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট এদনালদো রদ্রিগেজকে প্রশ্ন করেছিল—আনচেলত্তিকে কি সত্যিই ব্রাজিলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরে এদনালদো বলেছেন, ‘আনচেলত্তি আমাদের কাছে স্বপ্ন, নাকি বাস্তবতা? তিনি আমাদের জন্য বাস্তবতা।’