ব্রিটিশ আলোকচিত্রী অ্যালিসন জ্যাকসনের কাজ তারকাদের মতো দেখতে মানুষ খুঁজে তাদের ছবি তোলা। সম্প্রতি রাজা হিসেবে চার্লসের অভিষেকের সপ্তাহখানেক আগে তার মাথায় একটি পরিকল্পনা এসেছিল।
দুজনকে ভুয়া কামিলা আর চার্লস সাজিয়ে বাকিংহাম প্যালেসের মূল দরজা পেরিয়ে গিয়েছিলেন তারা। কারণ, নিরাপত্তা প্রহরীরা শুরুতে ভুয়া ব্যাপারটি ধরতে পারেননি।
জ্যাকসন বলেন, বাস্তব আর ভুয়ার মিশ্রণ করা আমার খুবই প্রিয়। কারণ, এটাই আমার কাজ। আজকাল কোনটা আসল, কোনটা ভুয়া, বোঝা কঠিন। সবকিছুই গণমাধ্যম, পাবলিসিস্ট আর তারকাদের তৈরি করা।রাজপরিবারও তাই।
তারকা এবং পাপারাজ্জিদের তোলা তারকাদের ছবির প্রতি মানুষের আকর্ষণের দিকে নজর রাখেন ইংলিশ ফটোগ্রাফার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জ্যাকসন। বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতো দেখতে মানুষ খুঁজে তিনি তাদের ছবি তোলেন।
জ্যাকসন বলেন, আমার কাজের মূল বার্তা হলো- ছবিকে সত্য হিসেবে না ধরা। কারণ, আপনি জানেন না, কোনটা আসল আর কোনটা ভুয়া, বা কোনটা সত্য আর কোনটা ভুল। যারাই আমাদের ওপর প্রভাব ফেলেন তাদের বিষয়ে আমার আগ্রহ জাগে। জানতে চাই, কেন তারা আমাদের প্রভাবিত করছেন? তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া কি দরকার, কেন তাদের প্রতি মনোযোগ দেব?
রাজা হিসেবে চার্লসের অভিষেকের সপ্তাহখানেক আগে জ্যাকসনের মাথায় একটি পরিকল্পনা আসে৷ ভুয়া রাজদম্পতিকে নিয়ে একটি মোটর শোভাযাত্রা বাকিংহাম প্যালেসে যাওয়ার সময় অবাক করার মতো ব্যাপার ঘটে।
জ্যাকসন বলেন, এর চেয়ে ভালো প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব ছিল না। যখন বাকিংহাম প্যালেসের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলাম তখন আমাদের বলা হয়েছিল, ওখানে যেও না, ওটা বন্ধ৷ কিন্তু আমি চেষ্টা করেছিলাম। দেখলাম তারা দরজা খুলে দিলো, আমাদের ভেতরে ঢুকতে দিলো বিশ্বাস হচ্ছিল না। পরে মনে হলো, ও আচ্ছা, তারা মনে করেছে আমরা আসল।
পুলিশ আসার পর পুরো ব্যাপারটি তারা বুঝতে পারেন।এরপর তাদের চলে যেতে বলা হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরীক্ষা করে দেখা হয়।
তবে জ্যাকসনকে দেখে চিন্তিত মনে হয়নি। তিনি বলেন, তারা সেখানে আমাদের অনেকক্ষণ থাকতে দিয়েছিল।যখন বাকিংহাম প্যালেসের সামনে চলে গিয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিল আমাদের আরও আগেই সরিয়ে দেওয়া হবে। মনে হচ্ছিল, তারা বুঝতে পারছিলেন না, তাদের এখন কী করণীয়। কারণ, এটা তো অবৈধ কাজ নয়। আর ঘোড়া হচ্ছে পথচারীর মতো। সে যেকোনো জায়গায় যেতে পারে। তাই পুলিশ থমকে ছিল। পরে আমাদের ভদ্রভাবে চলে যেতে বলা হয়।