আগের দিন ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা স্টিভ স্মিথ যোগ করলেন আরও ২৫ রান। তাতে ইংল্যান্ডের মাটিতে অষ্টম সেঞ্চুরি পেলেন বটে, অস্ট্রেলিয়াকে বেশি দূর এগিয়ে নিতে পারলেন না।
সঙ্গ দিতে পারেননি অ্যালেক্স ক্যারি কিংবা লেজের সারির সেরা ব্যাটসম্যান মিচেল স্টার্কও। লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসও তাই খুব বেশি দূর এগোয়নি। ৫ উইকেটে ৩৩৯ রান দ্বিতীয় দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া ৭৭ রান যোগ করতে বাকি ৫ উইকেট হারিয়েছে। ১০০.৪ ওভার ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থেমেছে ৪১৬ রানে।
এটি প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের কাছাকাছি সংগ্রহ। এজবাস্টনে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে ৩৯৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল।
প্রথম দিন শেষে স্মিথের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন ক্যারি। ১১ রানে অপরাজিত থাকা এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের স্টুয়ার্ট ব্রডের করা দিনের দ্বিতীয় ওভারের দুই বলে দুই চারে আট রান তুলে নেন। পঞ্চম বলেই পড়েন এলবির ফাঁদে। আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি, রিভিউ নিয়ে উইকেট তুলে নেন ব্রড।
খানিকপর জিমি অ্যান্ডারসনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মিচেল স্টার্ক। ৩৫৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা অস্ট্রেলিয়াকে চার শর দিকে টেনে নিয়ে যায় স্মিথ-কামিন্স জুটি। আগের দিন টেস্টে নয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা স্মিথ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১৬৯ বলে। এটি টেস্টে তাঁর ৩২তম সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের মাটিতে অষ্টম। ইংল্যান্ডে অতিথি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এর চেয়ে বেশি ১১টি সেঞ্চুরি আছে শুধু ডন ব্র্যাডম্যানের।
আগের দিন টেস্ট ক্রিকেটে ৯ হাজার আর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন স্মিথ।
স্মিথের মূল্যবান উইকেটটি তুলে নেন জশ টাং, গালি অঞ্চলে বেন ডাকেটের ক্যাচ বানিয়ে। মঈন আলীর জায়গায় একাদশে ঢোকা টাং ইনিংস শেষ করেন ৯৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে।
৩৯৩ রানে স্মিথ আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে যোগ হয়েছে আর ২৩ রান। নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজলউডকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুঁড়িয়ে দেন ওলি রবিনসন। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। টাংয়ের মতো রবিনসনেরও শিকার ৩ উইকেট, খরচ ১০০ রান।