জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মী মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত থাকতে পারবে না এবং তা অবশ্যই প্রেরণকারী দেশকে নিশ্চিত করতে হবে। এ কথা বলেছেন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জঁ-পিয়ের লাক্রোয়ার। দেশে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাকের’ কাছে সোমবার (২৬ জুন) পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। সোমবার তার কাছে দেওয়া ‘মায়ের ডাকের’ স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে লাক্রোয়ার ইমেইলে এই বিবৃতি পাঠান।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ‘মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতি এবং জবাবদিহি মেনে চলার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্ত অপরাধীদের’ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় স্মারকলিপিতে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিরক্ষায় যেসব দেশ সেনা ও পুলিশ পাঠায় তাদের নিশ্চিত করতে হবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করছে না বা তাদের পাঠানো সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখা দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সফলের অন্যতম পূর্বশর্ত শান্তিরক্ষীরা যেন উন্নত আচরণের পাশাপাশি সততা, যোগ্যতা এবং দক্ষতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখেন।
রোববার (২৫ জুন) ঢাকায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম ২ দিনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শুরু হয়। সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লাক্রোয়ারের বক্তৃতার সময় বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পররাষ্ট্র সচিবপররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।