কী খাবেন, ঠিক করতে কত খরচ করেন তাপসী পান্নু?

কী খাবেন, ঠিক করতে কত খরচ করেন তাপসী পান্নু?

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু। এখন অভিনেত্রী হিসেবে রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত তাপসী পান্নু। ঝুলিতে ইতিমধ্যেই পুরেছেন তিনটা ফিল্মফেয়ার। পর্দায় তাঁর এই সাফল্যের পেছনের অনেক কারণের একটি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। আর তা নির্ধারণে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করতে হয় ডায়েটিশিয়ানের পেছনে।

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু। এখন অভিনেত্রী হিসেবে রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত তাপসী পান্নু। এই ডিসেম্বরেই মুক্তি পাবে রাজকুমার হিরানির ‘ডাঙ্কি’। এতে তাঁর বিপরীতে আছেন শাহরুখ খান। হাতে আছে ‘হাসিন দিলরুবা’র সিকুয়েল ‘ফির আয়ি হাসিন দিলরুবা’ও। ঝুলিতে ইতিমধ্যেই পুরেছেন তিনটা ফিল্মফেয়ার। পর্দায় তাঁর এই সাফল্যের পেছনের অনেক কারণের একটি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। আর তা নির্ধারণে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করতে হয় ডায়েটিশিয়ানের পেছনে।

রুপালি পর্দার তারকাদের পেশাদারত্বের কারণেই হতে হয় স্বাস্থ্যসচেতন। কারণ, অভিনয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। অবশ্য কেবল শরীর সুস্থ রাখাই নয়, অভিনয়ের প্রয়োজনে কখনো কখনো শরীর খারাপও করতে হয়। কখনো মোটা হতে হয়, কখনো শুকাতে হয়। সেটা অবশ্য নির্ভর করে চরিত্রের ওপর। যখন যে চলচ্চিত্রের যে চরিত্রে অভিনয় করেন, তার সঙ্গে মিলিয়ে সাজাতে হয় শরীর। এর ফলে বদলাতে হয় খাদ্যাভ্যাস। যেমনটা করেন তাপসীও। প্রতিটি ছবির জন্য বদলান ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস।

কেবল ছবির চরিত্রই নয়, নতুন খাদ্যাভ্যাস নির্ধারণে ভূমিকা রাখে বয়স, ভূগোল ইত্যাদি। প্রতি চার-পাঁচ বছরে মানুষের শরীর অনেকখানি বদলে যায়। পরিবর্তিত হয় তাঁর শরীরিক অবস্থা, বিপাক সক্ষমতা। সেটাও বিবেচনায় রাখতে হয় পাতের খাবার বাছাইয়ের সময়। পাশাপাশি মাথায় রাখতে হয়, সময়টা তাপসী কোথায় থাকবেন; কোন দেশে, কোন শহরে। সেখানে কোন ধরনের খাবার বেশি পাওয়া যায়। কোন খাবার স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন হয়। এসব মিলিয়েই নির্ধারণ করা খাদ্যতালিকা অনুসরণ করে প্রতি ছবির জন্য নিজেকে নতুনভাবে প্রস্তুত করেন তাপসী।

তবে এসব সিদ্ধান্ত তিনি নিজে নিজে নেন না, নেওয়া সম্ভবও নয়। রুপালি পর্দার তারকারা সবাই এ জন্য নির্ভর করেন ডায়েটিশিয়ানদের ওপর। তাপসীও ব্যতিক্রম নন। সে জন্য তাঁর খরচও কম হয় না। প্রতি মাসে প্রায় লাখখানেক রুপি। এটাকে তিনি বলছেন ‘পেশাদারি বিনিয়োগ’। তাঁর পেশায় সবাইকেই এই বিনিয়োগ করতে হয়। নিজের স্বাস্থ্য ধরে রেখে লম্বা সময় কাজ করার প্রয়োজনে।

কেবল নিজের জন্যই নয়, মায়ের জন্যও ডায়েটিশিয়ান রেখেছেন তাপসী। কারণ, তাঁর মায়ের রয়েছে বিপাকজনিত সমস্যা। তবে বাবার জন্য কিছু করাটা নাকি বেশ মুশকিল। তিনি বরাবরই হিসাব করে টাকা খরচের পক্ষে। চার-পাঁচ বছরের খুকি থাকতেও এ বাবদে বকা খেয়েছিলেন তাপসী! দোষটা খুব বড় ছিল না। বাবা দিবসে শখ করে তাঁকে ১০ রুপির কলম কিনে দিয়েছিলেন তাপসী। তাতেই রেগে গিয়েছিলেন বাবা। ওভাবে কেউ টাকা নষ্ট করে! এখনো পইপই করে টাকার হিসাব করেন তিনি। লাখ রুপি খরচ করে ডায়েটিশিয়ান নিয়োগ নিয়েও নাকি প্রায়ই বাবার বকা খেতে হয় তাপসীকে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS