পিএসজিতে লিওনেল মেসির সময়টা কেমন ছিল? এই প্রশ্নে ইতিবাচক উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনা তেমন একটা নেই। যে ক্লাবে মেসির মতো তারকাকে বিদায়বেলাতেও দুয়ো শুনতে হয়েছে, তখন এ অধ্যায়টাকে ‘ভালো’ বলা বেশ কঠিনই। যদিও এত দিন নিজের পিএসজি–অধ্যায় নিয়ে মুখ ফুটে কিছুই বলেননি মেসি।
তবে গতকাল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল মুন্দো ও মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিএসজির হয়ে দুই মৌসুম মেসি কেমন কাটিয়েছেন, সে কথাই জানিয়েছেন। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, পিএসজির সময়টা মোটেও সুখকর ছিল না। এই সাক্ষাৎকারেই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেসি।
২০২১ সালে অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। মেসি যখন পিএসজিতে যোগ দেন, প্যারিসজুড়ে তখন ছিল সাজসাজ রব। সবার মুখে হাসি আর হর্ষধ্বনি। কিন্তু দুই বছর না পেরোতেই পুরো উল্টো চিত্র। আর হর্ষধ্বনি নয়, মেসিকে দুয়োধ্বনি দিয়েছে সমর্থকদের কট্টর অংশ।
পিএসজিতে টানা দুই মৌসুমে লিগ শিরোপা জিতেছেন মেসি। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ দল হিসেবে পিএসজি যেমন ব্যর্থ ছিল, মেসিও ছিলেন ব্যর্থ। সে কারণেই অনেক সমর্থকের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।
পিএসজিতে প্রথম মৌসুমে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় মৌসুমের শুরুটা কিন্তু দারুণভাবে করেছিলেন মেসি। মনে হচ্ছিল, পিএসজিতে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে—ত্রয়ীর হাত ধরে দারুণ কোনো সাফল্য ধরা দেবে। সে সময় পিএসজিতে মেসির নতুন চুক্তি সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের পর বদলে যায় পুরো চিত্র।
সাক্ষাৎকারে পিএসজির দুই মৌসুম নিয়ে মেসি বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে পিএসজিতে খুবই অসন্তুষ্ট ছিলাম। উপভোগ করিনি। শুধু বিশ্বকাপ জেতার মাসটা অসাধারণ কেটেছে, এ ছাড়া বাকি সময়টা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমি নতুন করে সুখটা খুঁজতে চাই, পরিবার সন্তানদের নিয়ে উপভোগ করতে চাই।’
দুই মৌসুমে পিএসজির হয়ে মেসি খেলেছেন ৭৫টি ম্যাচ। এই সময়ে প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে মেসি গোল করেছেন ৩২টি, করিয়েছেন আরও ৩৫টি।