মিড উইকেটের ওপর দিয়ে টেনে মারতে চেয়েছিলেন কলিন ইনগ্রাম। তবে ধরা পড়লেন স্যাম কারানের হাতে। সে উইকেটটা নিয়েই দারুণ এক মাইলফলক হয়ে গেল সুনীল নারাইনের। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেট নেওয়া মাত্র তৃতীয় বোলার হয়ে গেলেন ক্যারিবীয় এ স্পিনার।
ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি লিগ ভাইটালিটি ব্লাস্টে সারের হয়ে খেলছেন নারাইন। গতকাল কার্ডিফে স্বাগতিক গ্ল্যামরগানের বিপক্ষে ম্যাচ ছিল তাদের। সারের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে গ্ল্যামরগান আটকে গেছে ১৭১ রানেই। ৪ ওভার বোলিং করে ৩৪ রান দিয়ে নারাইন ইনগ্রামের উইকেটই নিয়েছেন। তাতেই মাইলফলক হয়ে গেছে ৪৯৯টি উইকেট নিয়ে এ ম্যাচে নামা এ স্পিনারের।
নারাইনের আগে ৫০০টি উইকেটের মাইলফলক ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো ও আফগানিস্তানের রশিদ খানের। ব্রাভো তো স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৬০০টি উইকেট নেওয়া একমাত্র বোলারও। রশিদের উইকেট ৫৫০-এর বেশি। নারাইনের পর এ তালিকায় আছেন ইমরান তাহির, ৪৬৯টি উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনারের। ৪৫১টি উইকেট নিয়ে শীর্ষ পাঁচে আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানও।
এ পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইকোনমি রেট নারাইনেরই-৬.০৫। সবচেয়ে ভালো গড় অবশ্য রশিদের-১৮.২৬। শীর্ষ পাঁচের বাইরে ৪০০-এর ওপর উইকেট আছে আর একজনেরই, পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের উইকেট ৪১৩টি। অবশ্য কাছাকাছি আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেলও (৩৯৭)।
ক্যারিয়ারে ১৩টি দলের হয়ে খেলেছেন নারাইন। ২০১৯ সালের পর থেকে অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যায়নি তাঁকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৫১ ম্যাচে ৫২টি উইকেট আছে তাঁর। সবচেয়ে বেশি ১৮১টি উইকেট তিনি নিয়েছেন আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। সবশেষ আসরে তিনি নেন ১১টি উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০টি উইকেট সিপিএলের ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে।
বিপিএলে নারাইন খেলেছেন দুটি দলের হয়ে—ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। ঢাকার দলটির হয়ে ২৯টি উইকেট নেওয়ার পর কুমিল্লার হয়ে নারাইন নেন ১২টি উইকেট। সবশেষ বিপিএলে কুমিল্লার শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি, সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ফাইনালে ৩৩ রানে নিয়েছিলেন ১টি উইকেট।