যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সেখান নিয়ে যেতে পারবেন না। আগামী জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। মূলত অভিবাসী কমাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। তবে যেসব শিক্ষার্থী গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছে, তাদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান অসংখ্য শিক্ষার্থী। সাধারণত ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার গুণগত মান ভালো হওয়ায় শিক্ষার্থীদের টার্গেটও থাকে সেদিকে। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। কিন্তু এ সুযোগ আর থাকছে না।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। আগামী জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, দেশটিতে অধ্যয়নরত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের গবেষক নন, এমন বিদেশি শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সে দেশে নিয়ে যেতে পারবেন না। অভিবাসী কমাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপের দেশটি।
যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের একটি বিশাল অংশ বাংলাদেশি। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানেরা দেশটিতে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার মন্ত্রীদের বলেছেন, অভিবাসন নিয়ে নতুন এই নীতি যুক্তরাজ্যে অভিবাসী কমাতে সাহায্য করবে। এ ছাড়া আগামী বছর থেকে এটি কার্যকরের বিষয়ে মন্ত্রীদের অবহিত করেছেন তিনি। গেল সপ্তাহে অভিবাসী কমিয়ে আনতে মন্ত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠক করেন ঋষি সুনাক। আর ঠিক এক সপ্তাহ পড়ে এমন ঘোষণা এলো।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে যুক্তরাজ্য, বিদেশি শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮টি ভিসা দিয়েছিল। এই সংখ্যা ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ৯ গুণ বেশি। ধারণা করা হচ্ছে চলতি বছর তা আরও বাড়বে। শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের ভিসা দেওয়া এভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্যে নজিরবিহীন।