অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের টানা দুইবারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এবারের আসরে ফাইনালের খুব কাছে গিয়েও পথ হারিয়েছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দুবাইয়ে বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হয় অনেক দেরিতে।
নির্ধারিত ৫০ ওভারের বদলে দুই দলের জন্য ইনিংস নির্ধারিত হয় ২৭ ওভারে। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান।
ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানে মাত্র চার বলের ব্যবধানে ফিরে যান দুই ওপেনার রিফাত বেগ ও জাওয়াদ আবরার।দ্রুত উইকেট হারানোর পর ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ২৬ বলে ২০ রান করে আউট হন দলীয় ৫৫ রানে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ।
মিডল অর্ডার ব্যাটাররা কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। সামিউন বশির এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করলেও অপর প্রান্তে সঙ্গীর অভাবে চাপ সামলাতে ব্যর্থ হয় দল। শেষ পর্যন্ত ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ১২১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। বশির ৩৭ বলে ৩৩ রান করেন।
পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আব্দুল সুবহান ছিলেন সবচেয়ে সফল।তিনি শিকার করেন চারটি উইকেট। এছাড়া হুজাইফা আহসান নেন দুটি উইকেট।
১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। মাত্র ১ রানেই হামজা জাহুরকে ফিরিয়ে দেন ইকবাল হোসাইন ইমন। তবে এরপর দৃঢ়তা দেখান সামির মিনহাস ও উসমান খান। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান তারা।
উসমান খান ২৬ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ রান করে সামিউন বাশিরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলেন সামির মিনহাস। তিনি ৫৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৯ রান করেন। শেষ দিকে আহমেদ হুসাইন ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থেকে দলীয় সংগ্রহ এগিয়ে নেন।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে ইকবাল হোসাইন ইমন ৫.৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সামিউন বাশিরও ৩ ওভারে ১৭ রান খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশকে টপকে ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান। অন্য সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ভারত পৌঁছে গেছে ফাইনালের মঞ্চে।