আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রাইজমানি বা অর্থ পুরস্কারে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে ফিফা। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য পুরস্কারের অর্থ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাউন্সিল টুর্নামেন্টটির জন্য রেকর্ড ৭২৭ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ৮ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা) আর্থিক প্যাকেজ অনুমোদন করেছে।
ফিফার নতুন ঘোষণা অনুযায়ী অর্থের অঙ্কটি চমকপ্রদ। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৫ কোটি ডলার (প্রায় ৬১১ কোটি টাকা)। ফাইনালে হেরে যাওয়া দল পাবে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার (প্রায় ৪০৩.২৬ কোটি টাকা)। আর যেসব দল গ্রুপ পর্ব পার হতে পারবে না, তারাও খালি হাতে ফিরবে না; তাদের প্রত্যেকে পাবে ৯০ লাখ ডলার (প্রায় ১১০ কোটি টাকা)।
পুরস্কারের বাইরেও প্রতিটি কোয়ালিফাইড দল প্রস্তুতির খরচ হিসেবে ১৫ লাখ ডলার (প্রায় ১৮.৩৩ কোটি টাকা) পাবে। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রতিটি সদস্য দেশ অন্তত ১০.৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৮.৩১ কোটি টাকা) নিশ্চিতভাবে বাড়ি নিয়ে যাবে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, এই অর্থায়ন প্রমাণ করে যে বিশ্ব ফুটবল সম্প্রদায়ের আর্থিক উন্নয়নে এবারের বিশ্বকাপ একটি ‘যুগান্তকারী’ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে।
টিকিটের চড়া মূল্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ার একদিন পরেই ফিফা এই প্রাইজমানি বাড়ানোর ঘোষণা দিল। সমালোচনার জেরে ১০৪টি ম্যাচের প্রতিটির জন্য সীমিত সংখ্যক ‘সাশ্রয়ী’ (৬০ ডলার) টিকিট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা।
ফুটবল সাপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এফএসএ) চেয়ারম্যান টম গ্রেটরেক্স বলেন, ‘রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি প্রমাণ করে যে বিশ্বকাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের কোনো অভাব নেই। ফিফার এখনো সময় আছে টিকিটের দাম কমিয়ে সাধারণ সমর্থকদের বিশ্বকাপের বিশেষ আমেজ থেকে বঞ্চিত না করার।’
প্রাইজমানির পাশাপাশি ফিফা কাউন্সিল যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোর জন্য একটি ‘পোস্ট-কনফ্লিক্ট রিকভারি ফান্ড’ বা পুনরুদ্ধার তহবিল গঠনের অনুমোদন দিয়েছে। গত অক্টোবরে মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে ইনফান্তিনো এই তহবিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ফুটবলের ঐক্যবদ্ধ করার শক্তির ওপর ভিত্তি করে এই তহবিল তৃতীয় পক্ষের অনুদানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং কঠোর নজরদারির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।