জাহেদী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থী পান্না আক্তার বিশেষ সম্মান বয়ে এনেছেন। ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস এবং ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে তিনি ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তাকে বিশেষ এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুর্শিদ পান্না আক্তারের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং অর্থপুরস্কার তুলে দেন।
এর আগে মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের আরেক কৃতী শিক্ষার্থী নাঈমুর রহমান সজীব ২০২২ সালে ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীরা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করে আসছে।
২০২৩ সালে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত ‘স্পেশাল অলিম্পিকসে’ বাংলাদেশের পক্ষে পান্না আক্তার তিনটি স্বর্ণ এবং ইসরাত জাহান ঝুমুর একটি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেন।
২০২৫ সালে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘স্পেশাল অলিম্পিকস এশিয়া প্যাসিফিক ব্যাডমিন্টন’র বাংলাদেশ দলের হয়ে নাঈমুর রহমান সঙ্গী একটি স্বর্ণ এবং একটি রৌপ্য পদক এবং পান্না তিনটি স্বর্ণ পদক অর্জন করেন।
ঝিনাইদহের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষে সম্পূর্ণ অবৈতনিকভাবে পরিচালিত জাহেদী ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয় দীর্ঘদিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা নয়, বরং তাদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নিবিড় তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর ফলস্বরূপ বর্তমানে অধ্যয়নরত দুই শিক্ষার্থী ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সফল ব্যক্তি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে।