আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসরের মেগা নিলাম। এই নিলামের ঠিক আগমুহূর্তে তালিকা থেকে কয়েকজন স্থানীয় ক্রিকেটারকে বাদ দেওয়া নিয়ে যে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে এবার আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি মাসের শুরুতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি বিসিবি সভাপতির কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই সম্ভাব্য দুর্নীতি ও অনিয়ম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো বোর্ডের নবগঠিত ‘ইন্টিগ্রিটি ইউনিট’-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাধীন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বে এই ইউনিট বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিসিবি জানিয়েছে, তারা দুর্নীতির যেকোনো অভিযোগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। বিপিএলের আসন্ন আসরের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতেই ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ীই তদন্তের স্বার্থে কয়েকজন খেলোয়াড়কে এবারের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।
গভর্নিং কাউন্সিল স্পষ্ট করেছে যে, এটি মূলত একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এবং তা কেবল বিপিএলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবমুক্ত রাখতে ও লিগের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিসিবির আয়োজিত অন্যান্য ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বা কার্যক্রমে এই সিদ্ধান্তের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
যেহেতু ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের অধীনে পর্যালোচনা ও তদন্ত এখনো চলমান, তাই নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।