এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দুই দেশের এই লড়াই ঘিরে মাঠ ও মাঠের বাইরে উত্তেজনা তুঙ্গে। এই উত্তাপ ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার শমিত সোম। ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
আজ (শনিবার) ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শমিত। সেখানেই তিনি জানান, ভারতের দুর্বলতার জায়গাগুলো নিয়ে তারা কাজ করছেন এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চান।
বাংলাদেশের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলা শমিত সোম শুরু থেকেই ভারত ম্যাচের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি বলেন, ‘ভারত একটা ভালো দল, আমরাও ভালো দল। এই ম্যাচটার অনেক মানে আছে, তাই না? ওই রাইভালরিটা… ভালো কম্পিটিশন হবে, আমরা রেডি থাকবো। আশা করি আমরা জিততে পারবো।’
জয়ের ব্যাপারে শমিত বলেন, ‘আমরা যদি ভালো খেলতে পারি, ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারি, আমরা জিতবো। আমরা ওই জয়ের জন্যই চেষ্টা করছি এবং বিশ্বাস করি আগামী ম্যাচেই জয়টা পাবো।’
এই ম্যাচের জন্য আলাদা অনুপ্রেরণার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই মিডফিল্ডার। তিনি যোগ করেন, ‘মোটিভেশন তো কাজ করবেই। এটা বিশাল বড় রাইভালরি ম্যাচ। কোচ আজকে বললেন আমরা বোধহয় ২৩ বছর (২০০৩ সালের পর) ওদের সাথে জিতি নাই। সো মোটিভেশনটা আলাদা করে বানাতে হবে না। সবাই জানে এই ম্যাচের অর্থ কী।’
শমিত তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমার মনে আছে, আমি যখন বাংলাদেশের জন্য খেলা শুরু করি, প্রথম দিনই কেউ একজন আমাকে ভারত ম্যাচের জন্য রেডি থাকতে বলেছিল। তখন আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল সিঙ্গাপুর। তাই এই ম্যাচের কথা আমাদের মাথায় অনেক আগে থেকেই ছিল।’
ভারত ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষের দুর্বলতা নিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানান শমিত। তিনি বলেন, ‘ভারত ভালো টিম, কিন্তু তাদের গ্যাপও আছে। এদের মিডফিল্ড লাইন এবং ডিফেন্স লাইনের মধ্যে গ্যাপ থাকে। ওইখানে স্পেস থাকতে পারে। নেপাল যেভাবে ডিফেন্ড করেছে, আমার মনে হয় ভারত সেভাবে পারবে না। আমরা ওই সুযোগ কাজে লাগাতে পারবো।’
পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘ওই হাফ স্পেসগুলো যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো করা সম্ভব। ওই জায়গা থেকে টার্ন করে থ্রু বল দিলে আমাদের স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারবে। তা না হলে দূর থেকে শট করতে পারবো। তখন ওদের ডিফেন্স লাইন আমাদের দিকে এগিয়ে এলে স্ট্রাইকাররা ফাঁকা জায়গা পাবে এবং গোল করার ভালো সুযোগ তৈরি হবে।’
বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা শমিত প্রায় প্রতি ম্যাচেই শেষ মুহূর্তের ভুলে দলের জয় হাতছাড়া হতে দেখেছেন। তবে ভারতের বিপক্ষে তেমনটা চান না তিনি। ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর ভারতের বিপক্ষে না জেতার খরা এবার কাটাতে চান তিনি।
শমিত বলেন, ‘আগামী ম্যাচেই আমরা জয় দিয়ে উদযাপন করবো। বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারাটা দারুণ ব্যাপার। আর ওই উইনটা (জয়) যদি পাই, সেটা সবকিছু আরও ভালো করে দিবে। আরও আনন্দ দিবে। আশা করি যে আগামী ম্যাচে উইনিং সেলিব্রেশনটা থাকবে।’