নেপালের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলিতে যেন উৎসবের রাত উপহার দিল বাংলাদেশ দল। বিরতিতে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে জোড়া গোল করে ম্যাচটাই ঘুরিয়ে দেন দলের নতুন অবলম্বন হামজা চৌধুরী। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
আরও বাড়তি আনন্দ যোগ করে জাতীয় দলে উদীয়মান ফুটবলার কিউবা মিচেলের অভিষেক। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে হামজার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন বসুন্ধরা কিংসের এই তরুণ। সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলে খেলা কিউবা এবার বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নেমে স্মরণীয় করে রাখলেন দিনটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ফাহিমের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করেন সুমিত শ্রেষ্ঠা। বল চলে আসে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার পায়ে। তিনি উঁচু করে বাড়িয়ে দেন বক্সে। সেখানেই দূরহ কোণ থেকে জমজমাট বাইসাইকেল কিকে জাল খুঁজে নেন হামজা চৌধুরী। ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ, আর গ্যালারি ফেটে পড়ে উল্লাসে।
৪৯তম মিনিটে আবারো নাটকীয়তা। বক্সে রাকিব হোসেনকে ফাউল করলে দেরি না করে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে আর কোনো ভুল করেননি হামজা। নিখুঁত শটে দলকে ২–১ গোলের লিড এনে দেন তিনি।
এর আগে ছিল একেবারেই নিরুত্তাপ প্রথমার্ধ। ২৯তম মিনিটে সুমিত শ্রেষ্ঠার গোলেই এগিয়ে যায় নেপাল। মাঝমাঠে দখল রাখলেও আক্রমণভাগে ছন্দ পাচ্ছিল না বাংলাদেশ।
১০ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় লাল-সবুজরা। জামালের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডানদিকে চমৎকার ক্রস দেন ফাহিম। গোলমুখে দাঁড়ানো সোহেল রানা জুনিয়র মাথা ছুঁইয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় হাতছাড়া হয় নিশ্চিত সুযোগ।
২৬ মিনিটে আবার গোল মিস করেন ফাহিম। বক্সে বল পেয়ে দ্বিধায় পড়ে যান, নিজে শট নেবেন নাকি রাকিবকে দিবেন। শেষে নেওয়া দুর্বল শট সহজেই ধরে ফেলেন নেপালের গোলরক্ষক কিরণ কুমার লিম্বু।
২৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আসে নেপালের গোল। সুমিত শ্রেষ্ঠার ব্যাক পাস ধরে বাঁ পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান রোহিত চাঁদ। এরপরও ৩৬ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান ফাহিম, কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন অনন্ত তামাঙ।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দেখা মেলে নতুন বাংলাদেশকে—যেখানে নেতৃত্বে থাকেন হামজা।
৬২ মিনিটে প্রায় জিরো ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল থেকে নেপালের দিনেশ হানজানের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে গেলে দুঃস্বপ্ন থেকে বাঁচে বাংলাদেশ।