ফিলিপাইনে আঘাত হানা ভয়াবহ টাইফুন কালমেগিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১০০ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৬ জন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে ফিলিপিন সাগর থেকে উৎপত্তি হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি কেবু প্রদেশের উপকূলে আঘাত হানে। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এই প্রদেশেই।
কেবু প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র রন রামোস জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে জাতীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের উপ-প্রশাসক রাফায়েলিতো আলেজান্দ্রো জানিয়েছেন, কেবুর আশপাশের প্রদেশগুলোয় আরও ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, এখনও ২৬ জন নিখোঁজ আছেন। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেবুর বড় শহরগুলো পুরোপুরি বন্যায় ডুবে গেছে।
স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আগের ২৪ ঘণ্টায় কেবু প্রদেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে— শুধু কেবু সিটিতেই পড়েছে ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টি। এতে নদ-নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ইতোমধ্যে প্রায় চার লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে।
কেবু প্রদেশের গভর্নর পামেলা ব্যারিকুয়াত্রো বলেন, আমরা নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ধারণা ছিল ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বন্যাই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে প্রতিবছরই গড়ে ২০টির বেশি মৌসুমি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে। গত সেপ্টেম্বরেও দেশটির ওপর দিয়ে বয়ে যায় দুটি টাইফুন, যার একটি ছিল সুপার টাইফুন ‘রাগাসা’।