‘ঘরের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে পদকের প্রত্যাশা স্বাগতিক বাংলাদেশের।’
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা পদকের আশা করি। তবে কোনো ঘোষণা দেবো না। এটা মনসংযোগের খেলা, ফলে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো, আমরা আশাবাদী। গত আসরে আমরা রুপা পেয়েছিলাম। এবারও ভালো কিছু আশা করছি।’
৮-১৪ নভেম্বর ঢাকায় এশিয়ার ৩০ দেশ নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান আর্চারির আসর। ইতোমধ্যে তিমুর লেস্তে ঢাকায় এসেছে চার দিন আগেই। রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারতের ক্রিকেট ও নারী অ-২০ দল বাংলাদেশে আসেনি। তবে আর্চারিতে তারা আসছে। দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ইরানের মতো শক্তিশালী দেশের পাশাপাশি ফিলিস্তিন, সিরিয়ার মতো যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের আর্চাররাও আসছেন বাংলাদেশে।
রাজীব উদ্দিন আহমেদ যোগ করেন, ‘এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে দুই শতাধিকের বেশি আর্চার নিবন্ধন করেছেন। আমরা আগামীকাল পর্যন্ত নিবন্ধন নেবো। ফিলিস্তিন, সিরিয়ার আর্চারদের আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তাও করছি। নারী-পুরুষ উভয় বিভাগে অনেক অলিম্পিয়ান আর্চার আসছেন।
এশিয়ান আর্চারির জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ছয় মাস আগে স্টেডিয়াম বরাদ্দ দিয়েছিল। ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচের জন্য এখন আর্চারিকে পদকের ম্যাচগুলো ১৩-১৪ নভেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে হচ্ছে।
ফেডারেশনের সভাপতি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বর্তমানে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘ভেন্যু নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আর মন্তব্য করে নেতিবাচক কিছু ছড়াতে চাই না। আমি সাধারণ সম্পাদককে আগামীতে এজন্য আরো বেশি সমন্বয় করার নির্দেশনা দিয়েছি।
এদিকে এশিয়ান আর্চারির পাশাাপশি ঢাকায় এশিয়ান আর্চারির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। ৮ নভেম্বরের কংগ্রেসে বিশ্ব আরচারির এশিয়া অঞ্চলের সভাপতি পদের প্রার্থী বাংলাদেশের কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান সভাপতি কোরিয়ার হুন্দাই মটর গ্রুপের চেয়ারম্যান ইউসুন চুং। সামাজিক ও আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন প্রার্থীকে হারানোর আশাবাদ বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগঠক রাজীব উদ্দিন আহমেদের, ‘আমি আরচারি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছি। আমরা সঙ্গে এশিয়ার অনেক দেশেরই সুসম্পর্ক রয়েছে।’