বিশ্বকে জরুরি ভিত্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব মূল্যায়ন করতে হবে। আজ শনিবার জাপানের হিরোশিমায় আয়োজিত সম্মেলনে জি-৭জোটভুক্ত দেশের নেতারা এ কথা বলেছেন। এ ছাড়া চলতি বছর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার নিয়ে আলোচনা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
জি-৭ভুক্ত সাত দেশের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কপিরাইট লঙ্ঘন থেকে শুরু করে ভুয়া তথ্য ছড়ানো ঠেকানোর মতো কাজে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বর্তমানে চ্যাটজিপিটির মতো টেক্সট তৈরির প্রোগ্রাম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবি ও গান তৈরির মতো বিষয়টি একদিকে যেমন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে, অন্যদিকে এ নিয়ে আশঙ্কাও বাড়ছে। কনটেন্ট নির্মাতাদের অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উপাদান নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করছে। এ নিয়ে আইনি লড়াই হতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এখন এ ঝুঁকি এড়াতে দ্রুত আইন করার চাপে রয়েছে। সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যানকে সিনেটে শুনানির জন্য ডেকেছিলেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তিনি সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
জি ৭-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রের প্রাসঙ্গিক মন্ত্রীদের একটি জি-৭ ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে হিরোশিমা এআই প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে কাজ করতে বলেছি। এ বছরের শেষ নাগাদ তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ আলোচনার মধ্যে থাকবে শাসনব্যবস্থা, কপিরাইটসহ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারের সুরক্ষা, স্বচ্ছতার প্রচার, তথ্য বিকৃতির প্রতিক্রিয়া ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো।’
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতারা এ মাসে প্রথমবারের মতো চ্যাটজিপিটি ও অন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রামগুলো নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।