চট্রগ্রাম থেকে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও সামনের দুটি বগি আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতরে লাইনচ্যুত হয়। ১৫ ঘণ্টা পর সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়ছবি: শিমুল তরফদার
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ট্রেনের সামনে গাছ পড়ে ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুতির প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ শনিবার রাতে কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রেললাইন স্বাভাবিক হওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে।
এর আগে আজ ভোররাত ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ট্রেনের সামনে গাছ পড়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের দুটি বগি ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্তের জন্য রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা খায়রুল কবিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুপুরে তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া বগিতে থাকা যাত্রী দীলিপ তালুকদার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি লাইনচ্যুত বগিতে ছিলাম। হঠাৎ ট্রেন থেমে যায়। দেখতে পাই ট্রেনটি ধীরে ধীরে এক পাশে হেলে যাচ্ছে। আমিসহ সব যাত্রী দ্রুত অন্য বগিতে ও দরজা দিয়ে নিচে নেমে যাই। ট্রেন হেলে পড়ার পর অনেকে ট্রেন থেকে নামেন। কেউ বড় ধরনের আহত হননি। সামান্য ব্যথা পেয়েছেন কয়েকজন।’
উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘লাউয়াছড়ার ভেতরে আঁকাবাঁকা রেললাইন দিয়ে ট্রেন নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনের ২০ গজ সামনে একটি বড় গাছ ভেঙে পড়ে। আমি দ্রুত ইমার্জেন্সি ব্রেক করি। পরে ট্রেন গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে থামে এবং ধীরে ধীরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়।’
উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক ওমর ফারুক বলেন, ট্রেন ধীরে চলায় বড় দুর্ঘটনা থেকে তাঁরা বেঁচে গিয়েছেন। এ ছাড়া চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক করায় যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছেন। ট্রেনটি ধীরে ধীরে সামান্য উল্টে যায়। সেই কারণে যাত্রীরা দ্রুত বের হয়ে আসতে পেরেছেন। দুর্ঘটনায় কোনো হতাহত নেই। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলকর্মীরা যাত্রীদের ট্রেন থেকে বের করে গাড়িতে তুলে দেন।