বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা করে ১৬৫ রান।
ম্যাচের শুরুটা ছিল কিছুটা ধীর, তবে ওপেনাররা দায়িত্বশীলভাবে ইনিংস গড়ে তোলেন। অ্যালিক আথানেজ শুরু থেকেই ইতিবাচক মেজাজে খেলেন। স্পিনারদের বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসী শট খেলে ২৭ বলে ৩৪ রান করেন, যাতে ছিল তিনটি চার ও দুটি ছক্কা। তার সঙ্গী ব্র্যান্ডন কিং ছিলেন আরও ধীরস্থির। ৩৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসটি বড় না হলেও দলকে দৃঢ় শুরু এনে দেয় এই জুটি। তাদের ৫৯ রানের পার্টনারশিপই ছিল ইনিংসের ভিত্তি।
আথানেজ আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন অধিনায়ক শাই হোপ, আর তখনই বদলে যায় খেলার গতি। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসনে খেলেন তিনি, স্পিনারদের বিপক্ষে বেশ কিছু মারকুটে শট খেলেন। অন্যপ্রান্তে রভম্যান পাওয়েল ছিলেন আরও বিধ্বংসী। তানজিম হাসান সাকিবের শেষ ওভারে টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ২৮ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এতে ছিল এক চার ও চারটি ছক্কা।
হোপও ছিলেন সমান কার্যকর, মাত্র ২৮ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন। তাদের জুটিতে শেষ দিকে ৫০ রানের বেশি যোগ হয়, যা স্কোরকে নিয়ে যায় লড়াকু ১৬৫ রানে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ছিলেন সবচেয়ে সফল। যদিও কিছুটা খরুচে, ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট—ব্র্যান্ডন কিং ও শারফেন রাদারফোর্ডের। বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ছিলেন সবচেয়ে কৃপণ; ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান, যদিও উইকেট পাননি। রিশাদ হোসেন নেন একটি উইকেট, তবে তানজিম হাসান সাকিব ছিলেন ব্যর্থ, ৪ ওভারে দেন ৪৭ রান।