চারদিনের জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন মৌসুমের প্রথম দিনটা ছিল পুরোপুরি ব্যাটসম্যানদের দখলে। দেশের চার ভেন্যুতে এক সঙ্গে শুরু হওয়া ম্যাচগুলোয় দেখা গেছে সেঞ্চুরির ছড়াছড়ি, সঙ্গে বোলারদেরও ছিল মাঝে মাঝে জ্বলে ওঠা মুহূর্ত।
চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে রাজশাহীর মাঠে ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন দুই টপ-অর্ডার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি। প্রথম ইনিংসে ৮২.৩ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ৪০১ রানের পাহাড় গড়ে চট্টগ্রাম। জয় খেলেছেন ১৬৫ বলে ১২৭ রানের দারুণ ইনিংস, ইয়াসির আলী করেছেন ১৩৮ বলে ১২৯। দলের আরেক ব্যাটার ইরফান শুক্কুর যোগ করেন ৭২ রান।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন চারটি উইকেট। জবাবে ব্যাট হাতে একেবারে ব্যর্থ রাজশাহী। দিন শেষে ৫ ওভারে ২ উইকেটে মাত্র ১ রান করে তারা।
অন্যদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এনসিএলে নতুন সংযোজন ময়মনসিংহ বিভাগের প্রথম দিনটা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রইল। প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়া দলটি ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে দিন শেষ করেছে। ময়মনসিংহের হয়ে শতরান করেন আরিফুল ইসলাম। ২০৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস তার। আব্দুল মজিদও করেছেন ৬৫ রান। সিলেটের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার খালেদ আহমেদ, নিয়েছেন তিনটি উইকেট।
ঢাকা বনাম রংপুরের ম্যাচেও দেখা গেছে এক সেঞ্চুরি। সিলেটের আউটার স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগ প্রথমে ব্যাট করে অলআউট হয় ২২১ রানে। মার্শাল আইয়ুবের ব্যাট থেকে আসে ১৬১ বলে ১০৫ রান, জিসান আলম করেন ৭১। রংপুরের হয়ে তিনটি উইকেট নেন আবু হাসিম, দুটি করে পান মেহেদী হাসান ও নাসির হোসেন। জবাবে রংপুর দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৬৫ রানে। অপরাজিত ৩৩ রানে আছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
খুলনায় বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ভালো শুরু করেছে খুলনা বিভাগ। প্রথম দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১২। অধিনায়ক জিয়াউর রহমান খেলেছেন ৯১ বলে ঝলমলে ৬৯ রানের ইনিংস। দলের অন্যদের মধ্যে এনামুল হক বিজয় করেছেন ৩০ এবং সৌম্য সরকার ৩৭ রান, ইমরান উজ্জামান ৪৩ রান। বরিশালের বোলারদের মধ্যে রুয়েল মিয়া ও মঈন খান তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন।
এনসিএলের প্রথম দিন শেষে স্পষ্ট, দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাটাররা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রস্তুত। বোলারদের জন্য সামনে অপেক্ষা কঠিন পরীক্ষা।