২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদাপূর্ণ টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। এবারের আসর অনুষ্ঠিত হবে লঙ্গার ভার্সন বা চারদিনের ম্যাচ ফরম্যাটে। নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগ। ফলে মোট আটটি দল মাঠে নামবে শিরোপার লড়াইয়ে।
বিসিবি ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে সূচি ও ভেন্যু তালিকা। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম (ও আউটার মাঠ), রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, বিকেএসপি’র ৩ নম্বর মাঠ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই মাঠে।
এনসিএলের আট দলের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
রাজশাহী বিভাগ
অধিনায়ক হাবিবুর রহমান সোহান, সহ-অধিনায়ক সাব্বির রহমান। দলে আছেন তাইজুল ইসলাম, নিহাদুজ্জামান, সানজামুল ইসলামসহ তরুণ তারকারা।
রিজার্ভ: নাজমুল হোসেন শান্ত, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়।
সিলেট বিভাগ
অধিনায়ক জাকির হাসান, সহ-অধিনায়ক আমিত হাসান। দলে মুশফিকুর রহিম, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, রেজাউর রহমান রাজাসহ শক্তিশালী স্কোয়াড।
রিজার্ভ: রিহাদ হাসান, মজহারুল হক মাজেদ প্রমুখ।
রংপুর বিভাগ
অধিনায়ক আকবর আলী, সহ-অধিনায়ক তানবির হায়দার। দলে রয়েছেন নাসির হোসেন, আলাউদ্দিন বাবু, নবীন ইসলামসহ অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে গড়া দল।
রিজার্ভ: লিটন দাস, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন।
ময়মনসিংহ বিভাগ
নতুন এ দলের নেতৃত্বে শুভাগত হোম। সহ-অধিনায়ক আব্দুল মজিদ। দলে আছেন নাঈম শেখ, আইচ মোল্লা, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও আবু হায়দার রনি।
খুলনা বিভাগ
অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন, সহ-অধিনায়ক জিয়াউর রহমান। সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেন, এনামুল হক বিজয়দের নিয়ে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ স্কোয়াড।
ঢাকা বিভাগ
অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, সহ-অধিনায়ক রনি তালুকদার। সঙ্গে আছেন সাদমান ইসলাম, আনামুল হক ও সুমন খান।
চট্টগ্রাম বিভাগ
অধিনায়ক শাহাদাত হোসেন দীপু, সহ-অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর। দলে মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান জয়, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও নাঈম হাসানসহ অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।
রিজার্ভ: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনসহ আরও কয়েকজন উদীয়মান খেলোয়াড়।
বরিশাল বিভাগ
অধিনায়ক তানভীর ইসলাম, সহ-অধিনায়ক ইফতেখার হোসেন ইফতি। দলে রয়েছেন ফজলে মাহমুদ, শামসুর রহমান শুভ, তাসামুল হক ও ইয়াসিন আরাফাত মিশু।
এবারের এনসিএলকে ঘিরে ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তেজনা তুঙ্গে। তরুণদের জন্য যেমন এটি নিজেকে প্রমাণের বড় মঞ্চ, তেমনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্যও এটি ফর্মে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ।