বাংলা চলচ্চিত্র জগতের কিংবদন্তি নায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক গত সোমবার (১৫ মে) না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অভিনেতার পাশাপাশি ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী) আসনের সংসদ সদস্যও ছিলেন এই নায়ক। তবে মৃত্যুর পর থেকেই তার সংসদীয় আসনটিতে কে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা।
কিংবদন্তি এই নায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারকারা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ফারুকের লাশ কবরে নামানোর আগেই তার আসনে এমপি নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বমহলে।
বৃহস্পতিবার (১৮) বিষয়টি নিয়ে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে মুখ খুলেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। রীতিমতো ক্ষোভ ঝেড়েছেন সিদ্দিকের ওপরে।
ডিপজল বলেন, মামা (ফারুক) যখন থেকে অসুস্থ, তখন থেকেই তিনি (সিদ্দিক) এমপি নির্বাচনের জন্য লাফালাফি শুরু করেছেন। তিনি এমপি নির্বাচন করতেই পারেন। যে কেউই নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু মামার (ফারুক) লাশ কবরে নামানোর আগেই তিনি ঘোষণা দিয়ে দিলেন তার আসনে নির্বাচন করবেন। এতে চরম কষ্ট পেয়েছি এবং মনোক্ষুণ্ন হয়েছি।
অভিনেতা আরও বলেন, নেত্রী যদি পছন্দ করেন, তাহলে ওনাকে মনোনয়ন দিতেই পারেন। তবে ওই আসনে অনেক মানুষ আছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন। স্থানীয় অনেক প্রভাবশালীও আছেন।
সিদ্দিকের গ্রামের বাড়ির প্রসঙ্গ টেনে ডিপজল বলেন, আপনার গ্রামের বাড়ি যেখানে, সেখানে গিয়ে নির্বাচন করেন। সুযোগ পেতেও পারেন। ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্র গুলশান। এখানে যেই নির্বাচন করুক আশপাশে সবার জানা থাকতে হবে। আপনি এসেই ঘোষণা দিচ্ছেন, এই আসনে নির্বাচন করবেন। এটি একেবারেই ঠিক না। আমিও কিন্তু ওই আসনেরই ভোটার। অন্তত একটু সময় নিতে পারতেন আপনি। সমঝোতায় আসতে পারতেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, একটা মানুষকে ইজ্জত দিতে পারতেন। ফারুক যেমন-তেমন মানুষ নন, তিনি তারকাদের কিংয়েরও ওপরে। ওনার মৃত্যুর ৭ দিন কিংবা ৪০ দিন পর নির্বাচন নিয়ে আপনি প্রকাশ্যে আসতে পারতেন। এতো লাফালাফি করাটা আপনার ঠিক হয়নি। না করাটাই ভালো মনে করি আমি। আপনার এমন আচরণে প্রচণ্ড মনোক্ষুণ্ন এবং ব্যথিত হয়েছি আমি। মানুষ রঞ্জিত করে, তবে নিজেকে এতটা রঞ্জিত করা আপনার মোটেও ঠিক হয়নি।